কুষ্টিয়ায় চার বছর আগে এক কলেজ ছাত্র হত্যা মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
রোববার কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতরা হলেন- সদর উপজেলার চৌড়হাস আদর্শপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে রাকিবুল ইসলাম রাকিব (২৫), এরশাদ নগর আশ্রায়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে সুজন (২২), পূর্ব মজমপুর গ্রামের নান্নু ড্রাইভারের ছেলে শাহরিয়ার নাইম রাব্বি (২৪) ও চৌড়হাস ফুলতালা গ্রামের কোহিনুরের ছেলে পিয়াস (২৫)।
কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল হালিম জানান, যাবজ্জীবনের পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে বিচারক ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও দিয়েছেন। অনাদায়ে তাদের আরও এক বছর সাজা ভোগ করতে হবে।
মামলার বিবরণে বলা হয়, পূর্ব শত্রুতার জেরে ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর বিকালে পিটিআই সড়কে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র পলাশকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন পলাশের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় পলাশের মা সদর উপজেলার পুরাতন কুষ্টিয়া গ্রামের গোলাম রব্বানীর স্ত্রী সেলিনা বেগমসহ ছয় আসামির নাম উল্লেখসহ কুষ্টিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।
তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৭ সালের ৬ জুন ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিলে এ মামলার বিচার কাজ শুরু করে আদালত।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় রনি ও ফয়সাল নামে দুই আসামিকে খালাস দিয়েছে আদালত।