দীর্ঘ বিরতির পর কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খুললেও উপস্থিতি খুবই কম। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি দেখা যায়নি বললেই চলে। শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিও একেবারে কম। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেকটা একই অবস্থা দেখা গেছে। তবে, শিক্ষার্থীর পদচারণায় মুখর টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। সেশন জটের আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকেরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে অতিরিক্ত ক্লাস নেয়া হবে।
শুরুর দিক থেকেই কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বন্ধ হয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়। বিরতির পর রোববার থেকে শুরু হয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম। এখন সেশনজট কাটিয়ে ওঠায় নজর শিক্ষার্থীদের।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘দীর্ঘ দিন আন্দোলনের ফলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় গ্যাপ তৈরি হয়েছে। আমরা আশঙ্কা করছি একটি সেশন জটে পড়তে পারি। যারা শিক্ষক রয়েছেন তাদের প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে যেন এখন থেকে একাডেমিক কার্যক্রম চালিয়ে নিতে পারেন।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান ফিজু বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কোনো ধরণের সমস্যা, একডেমিক সমস্যা থাকলে আমরা তা সমাধান করবো। সেশন জট নিরসনে প্রয়োজনে অতিরিক্ত ক্লাস নিব। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ আরও বাড়ানো হবে।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই-একটি বিভাগে সীমিত পরিসরে ক্লাস শুরু হলেও শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম। শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, উপাচার্যসহ প্রশাসনের ৭৫ জনের বেশি কর্মকর্তা পদত্যাগ করায় সিন্ডিকেট সভা ডাকা সম্ভব হয়নি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এখন সিন্ডিকেট সভা ডাকে খুলতে হবে, চালু করতে হবে। আমাদের এই মুহুর্তে প্রশাসন নেই। আমাদের কোনো ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনও নেই। ফলে এই সিন্ডিকেট সভা ডাকার মতো কেউ নেই। অধ্যাদেশ অনুসারে ক্লাস শুরু করতে গেলে আমাদের উপাচার্য লাগবে।’
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় খুললেও ক্লাস শুরু হবে ২৫ আগস্ট। তবে, শিক্ষার্থীর পদচারণায় মুখর টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এদিকে, সব কলেজ খুললেও দেখা যায়নি শিক্ষার্থী উপস্থিতি।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।