কলেজ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনে ছয় বছরেও মিলছে না বরাদ্দ

সিলেট প্রতিনিধি |

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ছয় বছরেও আলোর মুখ দেখেনি সিলেটের দুটি সরকারি কলেজের ১০ তলা একাডেমিক ভবন। অথচ একই দিনে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা আরেকটি কলেজের ১০ তলা একাডেমিক ভবন এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়। ওই দুটি কলেজে ১০ তলার বদলে ছয়তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণের জন্য সম্প্রতি মাটি পরীক্ষা করা হয়েছে।

কলেজ দুটি হলো সিলেট সরকারি কলেজ ও সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ। প্রতিষ্ঠানসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নুরুল ইসলাম নাহিদ শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালে সিলেটের তিনটি সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন সংকট দূর করার উদ্যোগ নেন। ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ১০ আগস্ট একই দিনে তিনি তিনটি প্রতিষ্ঠানের পৃথক ১০ তলা একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। অপর প্রতিষ্ঠানটি হলো ঐতিহ্যবাহী মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজ। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে ১২ কোটি ২৮ লাখ ১৯ হাজার ৫৭০ টাকা ব্যয়ে এমসি কলেজের ১০ তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণের কাজ পায় টি কে অ্যান্ড আদার্স (জেবি)। দায়িত্ব পাওয়ার ৭৩০ দিনের মধ্যে কাজ শেষ করতে বলা হয়।

ঠিকাদার সূত্রে জানা গেছে, সাড়ে ৪ বছরে ৯৮ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আর ভবনের দায়িত্বে থাকা সিলেট সদর উপজেলার উপসহকারী প্রকৌশলী উজ্জ্বল বখ্ত জানিয়েছেন, ভবনের কাজ প্রায় শেষ। আগামী নভেম্বরেই উদ্বোধন হতে পারে।

অপর দিকে সিলেট সরকারি কলেজ ও মহিলা কলেজের ভবন নির্মাণকাজ এখনো শুরুই হয়নি। গত

২৪ ও ৩০ জুলাই ছয়তলা ভবন নির্মাণের জন্য মাটি পরীক্ষা করা হয়।

জানতে চাইলে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ নাজমীন ইসলাম চৌধুরী বলেন, ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে কলেজের বিজ্ঞান ভবনের পাশে ১০ তলা একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। কিন্তু কোনো বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। বর্তমানে নতুন ছয়তলা ভবনের জন্য মাটি পরীক্ষা করা হয়েছে।

বরাদ্দ দেওয়া হয়নি সিলেট সরকারি কলেজের ভবন নির্মাণেও। অধ্যক্ষ এ জেড এম মাঈনুল হোসেন বলেন, বয়েজ হোস্টেলের পাশের পুকুরের সামনে ভবন নির্মাণের কথা। কিন্তু কোনো বরাদ্দ না আসায় কাজ আর শুরু হয়নি।

এ বিষয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সিলেট কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার নাজমুল ইসলাম বলেন, বরাদ্দ না আসায় ওই দুটি কলেজের ভবনগুলোর কাজ শুরু হয়নি। ছয়তলার জন্য মাটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু হবে।

অধিদপ্তরের উপপ্রকৌশলী মুহাম্মদ আবু বকর ছিদ্দিক বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে ১০ তলার বদলে ছয়তলা ভবন নির্মাণের জন্য মাটি পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে। তাঁরা সে অনুযায়ী কাজ করে প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
জোর করে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের পদত্যাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করা হুঁশিয়ারি - dainik shiksha জোর করে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের পদত্যাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করা হুঁশিয়ারি রাজনীতি করি না, ভবিষ্যতেও করবো না: ঢাবির নতুন ভিসি - dainik shiksha রাজনীতি করি না, ভবিষ্যতেও করবো না: ঢাবির নতুন ভিসি চার তারিখের মধ্যে মাদরাসা শিক্ষকদের এমপিওর আবেদন - dainik shiksha চার তারিখের মধ্যে মাদরাসা শিক্ষকদের এমপিওর আবেদন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক আমানুল্লাহ - dainik shiksha জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক আমানুল্লাহ দীপু-টিপু-রতন সিন্ডিকেটের ঘুষের সাম্রাজ্য - dainik shiksha দীপু-টিপু-রতন সিন্ডিকেটের ঘুষের সাম্রাজ্য এনসিটিবির দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের শাস্তি দাবি বৈষম্যবিরোধীদের - dainik shiksha এনসিটিবির দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের শাস্তি দাবি বৈষম্যবিরোধীদের কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0060548782348633