কলেজ মাঠে ধান চাষ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি |

পলাশবাড়ী পৌরসভার আন্দুয়া কারিগর কলেজ মাঠে ধান চাষ করেছেন দাতা সদস?্য। আন্দুয়া গ্রামে ১ একর জমির উপরে গত ১৯৯৯ সালে স্থাপিত হয় পলাশবাড়ী কারিগরি কলেজ।

এরপর ২০০১ সালে হয় কলেজটি এমপিওভুক্ত। কারিগরি কলেজের মাঠ হিসেবে ব্যবহৃত জমিটুকু বিগত কয়েক বছর হলো বন্ধক রেখে ধান চাষাবাদ করার অভিযোগ উঠেছে দাতা সদস্যের বিরুদ্ধে।

এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে ১৩ জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়মিত বেতনভাতা পান। ১৬০ জন পরীক্ষার্থীসহ মোট ২ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে কলেজটিতে। এ কলেজটি অবকাঠামো দেড় বিঘা জমির ওপর হলেও বাকি দেড় বিঘা জমি দাতা সদস্য সোহেল বন্ধক রেখে কৌশলে আবাদি জমি হিসেবে ধানের চাষাবাদ করে আসছেন বছরের পর বছর।

এছাড়া কলেজের জমি পার্শ্ববর্তী আন্দুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে ২০১৩ সালের ২৮ নভেম্বর (দলিল নং-৫৬৩৪) মূলে ৪ শতাংশ ও পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি (দলিল নং-১৭৩) ৯ শতাংশ জমি দিয়ে দুটি দলিল সম্পাদনা হওয়ায় এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে বতর্মান বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।
কারিগরি কলেজ মাঠে ধান রোপণকারী আব্দুল বাকি মিয়া বলেন, আমরা আমাদের গ্রামের বাসিন্দা মতলুবরের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা দিয়ে জমিটি বন্ধক (মর্গেজ) নিয়ে সাড়ে তিন বছর হলো ধান চাষাবাদ করছি। তিনি আরো বলেন, মতলুবর প্রতিষ্ঠাতা দাতা সদস্য সোহেল মিয়ার কাছ থেকে বন্ধক নেয়ার পর মতলুবরের কাছ থেকে আমরা বন্ধক নেই।
এ বিষয়ে মতলুবর বলেন, সোহেলের কাছে থেকে জমি নিয়ে চাষাবাদ করছি।

তবে দাতা সদস্য সোহেল মিয়া বলেন, জমি বন্ধক রাখার কোনো ডকুমেন্ট নেই, আমরা কলেজে জমি দিয়েছি ১ একর। এর মধ্যে দেড় বিঘা জমির উপরে কলেজ রয়েছে। বাকি জমি এখনো আমাদের দখলে রয়েছে।
এ জমিটুকু কলেজে এখনো হস্তান্তর করা হয়নি বিধায় আমাদের মতো করে আমরা চাষাবাদ করছি। কারিগরি কলেজের কাছে রেজুলেশন মূলে আমার টাকা পাওনা রয়েছে।

এ বিষয়ে কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষ শামীমা সুলতানা বলেন, দেড় বিঘা জমির ওপরে কলেজের অবকাঠামো থাকলেও পুরো এক একর জমি কলেজের দখলেই রয়েছে।

কলেজের মাঠের জমিটি একটু সমতল নিচু হওয়ায় ধান চাষাবাদ হচ্ছে। উক্ত মাঠে মাটি ভরাট করা প্রয়োজন। জমিটি বর্গা বা লিজ অথবা বন্ধক হিসাবে প্রদানের কোনো রেজুলেশন কলেজের নেই বিধায় ওই জমিটি বন্ধক রাখার সত্যতা যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহাতাব হোসেন বলেন, করোনাকালে কলেজটি নিয়মিত খোলা না থাকা ও নিয়মিত ক্লাস না হওয়ায় বিষয়টি একাধিকবার কলেজের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করেছি। কলেজের মাঠের জমি বন্ধক বা লিজ দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।

পলাশবাড়ী কারিগরি কলেজের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান নয়ন বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হওয়ার পর ওই কলেজের মাঠে সব ধরনের চাষাবাদ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছি। এবং মাঠের উন্নয়নের জন্য মাটি ভরাট করার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই - dainik shiksha একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই অবসর কল্যাণে শিক্ষার্থীদের দেয়া টাকা জমার ফের তাগিদ - dainik shiksha অবসর কল্যাণে শিক্ষার্থীদের দেয়া টাকা জমার ফের তাগিদ সুধা রানী হাদিসের শিক্ষক পদে : এনটিআরসিএর ব্যাখ্যা - dainik shiksha সুধা রানী হাদিসের শিক্ষক পদে : এনটিআরসিএর ব্যাখ্যা শরীফ-শরীফার গল্প বাদ যাচ্ছে পাঠ্যবই থেকে - dainik shiksha শরীফ-শরীফার গল্প বাদ যাচ্ছে পাঠ্যবই থেকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে শূন্যপদের ভুল চাহিদায় শাস্তি পাবেন কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষক - dainik shiksha শূন্যপদের ভুল চাহিদায় শাস্তি পাবেন কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষক এক রুমে ৩৫ ছাত্রী অসুস্থ, পাঠদান বন্ধ - dainik shiksha এক রুমে ৩৫ ছাত্রী অসুস্থ, পাঠদান বন্ধ যৌ*ন হয়রানির অভিযোগে প্রধান শিক্ষক কারাগারে - dainik shiksha যৌ*ন হয়রানির অভিযোগে প্রধান শিক্ষক কারাগারে এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে - dainik shiksha এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0050928592681885