টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কাউনিয়া উপজেলার ২৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পরেছে। শিক্ষার্থীরা পড়েছে চরম দুর্ভোগে।
সরেজমিনে বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কোন কোন বিদ্যালয়ে হাঁটু থেকে কোমর পর্যন্ত পানি ঢুকেছে। উপজেলার ৪ ইউনিয়নের চরাঞ্চলসহ ১৭টি গ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর বেশি ক্ষতি হয়েছে। ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম আসাদুজ্জামান জানান, বন্যার কারণে চর ঢুসমারা, গুপিডাঙ্গা, চর গনাই, রহমানিয়া, পল্লীমারী, পল্লীমারী একতা, চর নাজিরদহ, চর চতুরা, পাঞ্জরভাঙ্গা, গদাই, প্রাণনাথ চর, আজমখা, চর গনাই হয়বতখাঁ, চরটাপু হয়বতখাঁ ব্রীফ সৌহার্দ্য সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ঢুসমারা চরে ২টি ও মধুপরে ৩টি কওমি মাদ্রাসাসহ ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, নাজিরদহ একতা উচ্চ বিদ্যালয়, ইসলামীয়া উচ্চ বিদ্যালয়, পল্লীমারী উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাইনাথ আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ভূতছাড়া আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হরিচরণ লস্কর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পাটয়াটারী দাখিল মাদ্রাসা, ঠাকুরদাস ইবতেদায়ী মাদ্রাসা, কুর্শা উচ্চ বিদ্যালয়, চর চতুরা হাফিজিয়া মাদ্রাসা মোট ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।