কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের একটি বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান চলাকালে কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় ৫ ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের উদ্ধার করে নাঙ্গলকোট সদরের একটি ইভেট হাসপাতালে ভর্তি করে।
বুধবার দুপুরে উপজেলার ধাতিশ্বর আহমেদ দেলোয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় এবং কলেজের বিদ্যালয় শাখার অষ্টম শ্রেণির কক্ষে পাঠদান চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার দুপুরে ধাতিশ্বর আহমেদ দেলোয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় এবং কলেজের বিদ্যালয় শাখার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছিলেন ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক জাফর আহমেদ।
এসময় বাড়িতে শিখতে দেয়া পড়া না পরার অভিযোগে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখেন তিনি। একপর্যায়ে ওই শ্রেণিকক্ষে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী মুসফিকা ইসফাত জুড়ি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
একই সময় ওই শ্রেণির ছাত্রী নাছরিন সুলতনা নিহা, সায়েমা মজুমদার, সারমিন সুলতনা ও নুরবিন জান্নাতও একইভাবে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে শিক্ষকরা ওই ছাত্রীদের নাঙ্গলকোট সদরের পাটোয়ারী জেনারেল হসপিটাল নামের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসেন বলেন, “ওই শিক্ষার্থীরা সকালে না খেয়ে বিদ্যালয়ে এসেছিল। এতে তাদের শরীর দুর্বল হয়ে পড়ায় এ ঘটনা ঘটতে পারে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোনাজের রশিদ জানান, শিক্ষার্থীরা সকালে খালি পেটে কোচিং করার জন্য স্কুলে আসে। সারা দিন থাকতে হয় নাস্তা-পানি খেয়ে। ফলে কয়েকজন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদেরকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।