ইন্টার্নশিপ বহালসহ চার দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে থাকা কুমিল্লার ম্যাটস শিক্ষার্থীরা কাফনের কাপড় পরে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে নগরীর কান্দিপাড়ে আন্দোলনের ১৪তম দিনে কুমিল্লার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ম্যাটস শিক্ষার্থীরা মুখে কালো কাপড় ও হাতে শিকল বেঁধে এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তব্য দেন মেহেদী হাসান নাঈম, হাসিবুল ইসলাম শান্ত, আয়েশা ফারজানা, আনোয়ার হোসেন, সিহাব উদ্দিন, তামিম আহমেদসহ কয়েকজন।
এ সময় আয়েশা ফারজানা বলেন, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে সরকারিভাবে কোনো নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। প্রতি বছর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাত থেকে ১০ হাজার শিক্ষার্থী পাস করে বের হলেও তাঁদের চাকরির ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। তাঁরা বেকার হয়ে যাচ্ছেন।
আরেক শিক্ষার্থী হাসিবুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এ বেকারত্ব থেকে মুক্তি চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান নাঈম বলেন, ‘চার দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট, পরীক্ষা বর্জন ও অনির্দিষ্টকালের জন্য আমরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাব।’
আন্দোলনকারীরা অবিলম্বে ইন্টার্নশিপ বহাল রেখে কোর্স কারিকুলাম সংশোধন, অ্যালাইড হেলথ বোর্ড বাতিল করে মেডিক্যাল এডুকেশন বোর্ড অব বাংলাদেশ নামে স্বতন্ত্র বোর্ড গঠন, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ নিয়োগের দাবি জানান।
এদিকে কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে প্রচণ্ড গরমে সালমা আক্তার, রিয়া চৌধুরী, আকাশ, শুভব্রত, অনীক, রায়হানসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে সেখানেই তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
এ ব্যাপারে কুমিল্লা সরকারি মেডিক্যাল অ্যাসিসট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের অধ্যক্ষ ডা. মো. সালাউদ্দীন মাহমুদ বলেন, বিদেশে জনশক্তি রপ্তানির জন্য ম্যাটসের সিলেবাস আন্তর্জাতিকমানের করা হয়েছে। তারা না বুঝেই আন্দোলন করছে। তারা সঠিক পথে এগোচ্ছে না। কোনো দাবি থাকলে তাদের প্রতিনিধিদল সরাসরি ডিজির সঙ্গে দেখা করে কথা বলতে পারে। তাদের সামনে পরীক্ষা। আন্দোলন তাদের পড়ালেখার ক্ষতি করছে।