ঢাকার কারওয়ান বাজারে আজও কাঁচা মরিচ ২৫০ টাকা কেজি বিক্রি হতে দেখা গেছে। মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সরেজমিনে রাজধানীর এ বাজারে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।
সোমবার এ পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচ ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি বিক্রি হতে দেখা যায়। এদিন বাজারে দেশি কাঁচা মরিচের সরবরাহ আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছিলাে বলে জানিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। তবে আজ আবার কেজিতে ১০০ টাকা বেড়েছে কেনো তার কোনো কারণ জানাতে পারেননি ব্যবসায়ীরা।
এদিকে, ভারত থেকেও কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। এতে সবজির পাইকারি মোকামগুলোতে কাঁচা মরিচের দাম আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। তবে খুচরা পর্যায়ে এখনো সেই দামের তেমন প্রভাব দেখা যায়নি।
গত রোববার দুপুর পর্যন্ত বগুড়া, পাবনাসহ উৎপাদন এলাকার পাইকারি মোকামগুলোতে মরিচের দাম কমে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে।
ঈদের কয়েক দিন আগে থেকে দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের দাম বাড়তে শুরু করে। ঈদুল আজহার পরে তা অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়। গত কয়েক দিনে পাইকারি পর্যায়ে কেজি ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছিলো। এ সময় খুচরা বাজারে ৬০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। দেশের কোনো কোনো এলাকায় তা ৭০০-৮০০ টাকাও ছুঁয়েছিলো।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন পাইকারি বাজারে গত রোববার সকাল পর্যন্ত ৩২০ থেকে ৪০০ টাকা দরে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছিলো। আর ঢাকার বিভিন্ন খুচরা বাজারে এই দাম ছিল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা।
দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকায় গত ২৫ জুন এই নিত্যপণ্য আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। সে সময় দেশে কাঁচা মরিচের দাম ছিলো ২৫০ টাকা কেজি। কাস্টমসের তথ্য বলছে, ঈদের আগে ২৬ জুন পর্যন্ত সোনামসজিদ ও হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৩৮ হাজার ৬৭১ কেজি কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে। ঈদুল আজহার ছুটি শেষে গত রোববার থেকে আবারও ভারতীয় কাঁচা মরিচ দেশে প্রবেশ করতে শুরু করেছে।