ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে রোববার (৪ নভেম্বর)। এদিন কারাগারে বসেই ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছে দুই ছাত্র। কুষ্টিয়া কারাগারে বসে ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয় তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ে গতকালের পরীক্ষায় বেশ কিছু সমস্যার শিকার হয় ভর্তীচ্ছুরা। তারা জানায়, পরীক্ষাকক্ষে প্রশ্নপত্র সংকট, দেরিতে প্রশ্নপত্র পাওয়া, ভুল প্রশ্নপত্রসহ বেশ কিছু সমস্যা ছিল।
প্রথম দিনে ধর্মতত্ত্ব অনুষদভুক্ত ‘এ’ এবং মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ‘বি’ ইউনিটে প্রথম ও দ্বিতীয় শিফটে কুষ্টিয়া কারাগারে বসে ভর্তি পরীক্ষা দেয় দুজন। ইউনিটের প্রথম শিফটে (সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা) পরীক্ষা দেয় জয়নুল ইসলাম। পরবর্তী শিফটে (দুপুর ২টা থেকে ৩টা) পরীক্ষা দেয় আল আমিন। সিএমএম কোর্টের নির্দেশে কারাগারে পরিদর্শক, প্রশ্ন, ওএমআর শিট পাঠায় প্রশাসন। কারাগারে প্রথম শিফটে পরিদর্শক হিসেবে অধ্যাপক ড. আহসানুল আম্বিয়া এবং দ্বিতীয় শিফটে সহকারী অধ্যাপক নাসির উদ্দিন দায়িত্ব পালন করেন।
এ বিষয়ে ইউনিট সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান বলেন, ‘কারাগারে গিয়ে পরীক্ষা নেওয়া আমাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বস্ত শিক্ষকদের মাধ্যমে পরীক্ষা নিয়েছি। প্রশ্ন এবং উত্তরপত্র আনা-নেওয়ায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন।’ এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ বলেন, ‘আদালতের সিদ্ধান্ত মানতে হয়েছে। আমরা কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছিলাম তাদের ক্যাম্পাসে এসে পরীক্ষা দেওয়াতে। আইনগত কারণে তারা সম্মত হয়নি।’
কুষ্টিয়া কারাগারের জেলার মোস্তফা কামাল বলেন, পৃথক সংঘর্ষের মামালায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিল এই দুজন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য তাদের কুষ্টিয়া কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের আবার ঢাকায় ফেরত পাঠানো হবে।