ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর পরীক্ষার হলে বসেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
আজ সোমবার সকাল ৯টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি পান খাদিজা। পরে তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। বেলা ১১টা ৭ মিনিটে তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন। তিনি সরাসরি পরীক্ষার হলে গিয়ে আসন গ্রহণ করেন।
খাদিজা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তবে তিনি পুনঃভর্তি নিয়ে ২০২০-২১ সেশনে পরীক্ষা দিচ্ছেন।
আজ সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা শেষ হবে দুপুর একটায়।
খাদিজার পরীক্ষায় অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পরীক্ষা পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নূরানা। তিনি বলেন, ‘খাদিজা পরীক্ষা দিচ্ছেন। তিনি যাতে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন, সেই চেষ্টা আমাদের থাকবে।’
পরীক্ষা কমিটির সভাপতি নিবেদিতা রায় আজ সকালে বলেছিলেন, খাদিজার রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে। তাঁর পরীক্ষা নেওয়া হবে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলায় খাদিজার জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল ১৬ নভেম্বর খারিজ করেন আপিল বিভাগ।
আপিল বিভাগের এই আদেশের ফলে দুই মামলায় খাদিজাকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল থাকে। এর ধারাবাহিকতায় তিনি প্রায় এক বছর তিন মাস পর কারাগার থেকে আজ মুক্তি পেলেন।
অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচারসহ দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবরে খাদিজা ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়। একটি মামলা হয় রাজধানীর কলাবাগান থানায়, অপরটি নিউমার্কেট থানায়। দুটি মামলার বাদীই পুলিশ।
গত বছরের মে মাসে দুই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। গত বছরের ২৭ আগস্ট মিরপুরের বাসা থেকে খাদিজাকে গ্রেফতার করেছিল নিউমার্কেট থানা-পুলিশ।