নতুন শিক্ষাক্রমকারিগরি-মাদরাসায় আরো দুই বছর থাকছে সৃজনশীল পদ্ধতি

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

স্কুল-কলেজে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হলেও কারিগরি ও মাদরাসায় সেটি পুরোপুরি বাস্তবায়িত হতে আরও দুই বছর লাগবে। কারণ বিশেষায়িত ১০টি বিষয়ে আরও দুই বছর পুরোনো সৃজনশীল পদ্ধতিতেই পাবলিক পরীক্ষা হবে।  

সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির (এনসিসিসি) সভায় এটি চূড়ান্ত হয়েছে।

সভায় উপস্থিতি ছিলেন মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ শাহ আলমগীর। তিনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম চালুর সময়ে মাদরাসার পাঁচটি বিশেষায়িত বিষয়ের পাঠ্যবই রচিত হয়নি। সে কারণে এবারের পরীক্ষা ধরা যাচ্ছে না। এনসিটিবি (জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড) আমাদের জানিয়েছিল, তাদের আরও দুই বছর সময় লাগবে। যদিও মাদরাসার সঙ্গে জড়িত বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বিশেষায়িত বিষয়গুলোকে অক্ষুণ্ন রাখতে সুপারিশ করেছিল। তবে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তো পরিবর্তন আসবেই।

জানা গেছে, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন পাবলিক পরীক্ষায় ৫টি ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন পাবলিক পরীক্ষায় ৫টি বিশেষায়িত বিষয়ের ওপর পরীক্ষায় অংশ নেয় শিক্ষার্থীরা। নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে অন্য সব বিষয়ের পাঠ্যবই রচিত হলেও এসব বিষয়ের বই এখনো লেখা হয়নি। সে কারণে এসব বিষয়ে আরও দুই বছর সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে।

তিনি বলেন, আগামী দুই বছরও বিশেষায়িত বিষয়গুলোতে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষায় অংশ নেবে শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে বই রচনা হলে তার পরের বছর থেকে একই পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে।

এ বিষয়ে এনসিসিসির সভায় উপস্থিত থাকা কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. মামুন উল হক বলেন, কারিগরি বোর্ডের শিক্ষার্থীরা পাঁচটি বিশেষায়িত বিষয়ে পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নেয়। আগামী দুই বছরও একইভাবে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষায় অংশ নেবে। বই রচনার পর নতুন পদ্ধতি পুরোদমে চালু হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
বিলুপ্ত ছিটমহলের শিক্ষকদের এমপিওভুক্তিতে আরো ছাড় - dainik shiksha বিলুপ্ত ছিটমহলের শিক্ষকদের এমপিওভুক্তিতে আরো ছাড় ১০ জুলাই ঢাকায় তলব ফল টেম্পারিংয়ে অভিযুক্ত শিক্ষাবোর্ড সচিবকে - dainik shiksha ১০ জুলাই ঢাকায় তলব ফল টেম্পারিংয়ে অভিযুক্ত শিক্ষাবোর্ড সচিবকে আলোচনার মাধ্যমে কোটা সমস্যার সমাধান সম্ভব: আরেফিন সিদ্দিক - dainik shiksha আলোচনার মাধ্যমে কোটা সমস্যার সমাধান সম্ভব: আরেফিন সিদ্দিক ঈদের ছুটি শেষ হওয়ার পরও স্কুলে অনুপস্থিত শিক্ষকরা - dainik shiksha ঈদের ছুটি শেষ হওয়ার পরও স্কুলে অনুপস্থিত শিক্ষকরা সর্বজনীন পেনশন: সরকারের সঙ্গে শিগগিরই বৈঠকের আশা শিক্ষকদের - dainik shiksha সর্বজনীন পেনশন: সরকারের সঙ্গে শিগগিরই বৈঠকের আশা শিক্ষকদের প্রাথমিক শিক্ষার ট্রেডগুলোও প্রত্যেকটি স্কুলে চালু করতে হবে - dainik shiksha প্রাথমিক শিক্ষার ট্রেডগুলোও প্রত্যেকটি স্কুলে চালু করতে হবে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা কলেজগুলোর নাম এক নজরে - dainik shiksha র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা কলেজগুলোর নাম এক নজরে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0020291805267334