কালও অবরোধের ঘোষণা দিয়ে সড়ক ছাড়লেন সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে সংস্কার কমিটির প্রথম সভা প্রত্যাখ্যান করে সকাল-সন্ধ্যা সায়েন্সল্যাব ব্লকেড কর্মসূচি পালনের পর সড়ক ছেড়েছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার ৫টার পরে সায়েন্সল্যাবে এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক হতে দেখা যায়। 

বিকেলে আন্দোলনকারীরা জানান, কমিশন গঠন না করলে প্রতিদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত সাইন্সল্যাব মোড় অবরোধ করে ব্লকেড কর্মসূচি  চলমান থাকবে।

সাত কলেজের সমস্যা নিরসনে গঠিত কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় অংশ নেয়া কমিটি একাধিক সদস্যরা জানান, আগামী সপ্তাহে আবার শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি নিয়ে সভায় বসবে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা ওই কমিটি ও সভা প্রত্যাখ্যান করছেন।

এদিকে এর আগে দুপুর ১২টার পর ঢাকা কলেজ থেকে মিছিল নিয়ে এসে সড়ক অবরোধ করেন তারা। এতে ওই এলাকা সংলগ্ন রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজটের, ভোগান্তিতে পড়েন সড়কে চলাচলকারীরা।  

তবে সড়কে অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি সেবা বহনকারী যানবাহন চলাচলে সহযোগিতা করেন শিক্ষার্থীরা। কিছু যাত্রী যানবাহন ঘুরিয়ে ভিন্ন পথে ভিন্ন রাস্তা দিয়ে চলাচল করছেন। এর ফলে রাজধানীর অন্যান্য সড়কে যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় পুরো ঢাকা শহরের সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী আয়েশা সিদ্দিকা তাসনিম বলেন, আমরা রাস্তায় থাকতে চাই না। আমাদের শান্তি দিন। শিক্ষা বৈষম্য দূর করুন। জনগণকে ও সরকারকে বলবো আমাদের দাবি মেনে নিলে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা আর কখনো সায়েন্সল্যাব নীলক্ষেত অবরোধ করে কর্মসূচি পালন করবে না। সাত কলেজের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌক্তিকতা তুলে ধরেরে তিনি সরকারের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর কমিশন গঠনের অনুরোধ জানান।

আন্দোলনরত আর একজন শিক্ষার্থী মেহের আফরোজ বলেন, আমরা তিন দিনের আলটিমেটাম দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের আলটিমেটামে কোনো কর্ণপাত করেননি। তাই আমরা আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাইন্সল্যাব ব্লকেড কর্মসূচি পালন করছি। আমাদের মধ্য থেকে একজন ছাত্র প্রতিনিধি রেখে যতো দ্রুত শিক্ষাকমিশন গঠন করা হবে আমরা ততো দ্রুতই এই সায়েন্সল্যাব ত্যাগ করে পড়ার টেবিলে ফিরে যাবো।

প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের একাডেমিক ও প্রশাসনিক সমস্যা নিরসনে ২৪ অক্টোবর একটি কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো - dainik shiksha ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো জবিতে ভর্তির প্রাথমিক আবেদন শুরু ১ ডিসেম্বর - dainik shiksha জবিতে ভর্তির প্রাথমিক আবেদন শুরু ১ ডিসেম্বর সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি: দশ দিনে আবেদন প্রায় ৬ লাখ - dainik shiksha সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি: দশ দিনে আবেদন প্রায় ৬ লাখ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কমিটি ঘোষণা - dainik shiksha বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কমিটি ঘোষণা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে ধারণা বাড়াতেই পাঠ্যক্রমে তথ্য অধিকার আইন বিষয় যুক্ত: এনসিটিবি চেয়ারম্যান - dainik shiksha ধারণা বাড়াতেই পাঠ্যক্রমে তথ্য অধিকার আইন বিষয় যুক্ত: এনসিটিবি চেয়ারম্যান কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: ২১তম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি - dainik shiksha শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: ২১তম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি সরকারি কলেজ প্রদর্শকদের পদোন্নতির খসড়া প্রকাশ - dainik shiksha সরকারি কলেজ প্রদর্শকদের পদোন্নতির খসড়া প্রকাশ সুইডেনে স্কলারশিপে স্নাতকোত্তরের সুযোগ - dainik shiksha সুইডেনে স্কলারশিপে স্নাতকোত্তরের সুযোগ পঞ্চমে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা, বার্ষিকে ৪ স্তরে মূল্যায়ন - dainik shiksha পঞ্চমে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা, বার্ষিকে ৪ স্তরে মূল্যায়ন দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.015810012817383