কালবৈশাখী ঝড় : দুমড়ে-মুচড়ে পড়ে আছে মাদরাসার ঘর

দৈনিক শিক্ষাডটকম, ভোলা |

ভোলার লালমোহন উপজেলার পূর্ব-চরউমেদ আহম্মদিয়া দাখিল মাদরাসার টিনশেড ঘরটি কালবৈশাখী ঝড়ে পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে রয়েছে। এতে ছুটি শেষে মাদরাসার ক্লাস শুরু হলেও পাঠদান নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন শিক্ষকরা। আগামী ২১ই এপ্রিল সারা দেশের ন্যায় ওই মাদরাসাটিরও ক্লাসের কার্যক্রম  শুরু হবে।  

জানা গেছে, মাদরাসার নির্মাণাধীন টিনশেড ঘরটিতে আজও উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া লাগেনি। প্রতি বছর শিক্ষক-কর্মচারীদের আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে টিনশেড ঘরটি মেরামত করা হয়। বর্তমানে মাদরাসাটিতে ৬ শতাধিক শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। অজোপাড়া গায়ে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে এই মাদরাসাটি। তবে জরাজীর্ণ টিনশেড ঘরটিতে বর্ষা মৌসুমে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাচ্ছেন শিক্ষকরা। ঠিকমতো ক্লাস করতে পারছেন না শিক্ষার্থীরাও।

সম্প্রতি লালমোহন উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া আকস্মিক কালবৈশাখীর ঝড়ে মাদরাসাটি দুমড়ে-মুচড়ে পড়ে যায়। ওই ঝড় চলে যাওয়ার বেশ কয়েকদিন অতিবাহিত হলেও মাদরাসার আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে নতুন করে ঘর নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি।

পূর্ব চরউমেদ আহম্মদিয়া দাখিল মাদরাসার পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও রমাগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বলেন, ঝড়ে মাদরাসাটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমি নিজে গিয়ে ওই মাদরাসার বর্তমান অবস্থা পরিদর্শন করেছি। কীভাবে নতুন করে মাদরাসার জন্য টিনশেড ঘর তোলা যায় তার চেষ্টাও করছি।

ওই মাদরাসার অভিভাবক জসিম উদ্দিন ও জামাল ভূঁইয়া জানান, ঝড়ে মাদরাসার টিনশেড ঘরটি ভেঙে গেছে। এজন্য আমাদের সন্তানদের এখন ক্লাসে পাঠদান অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ক্লাসে বসার কোনো স্থান নেই। দ্রুত সময়ের মধ্যে মাদরাসার টিনশেড ঘর নির্মাণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি।

পূর্ব চরউমেদ আহম্মদিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা অলিউল্যাহ বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে মাদরাসার টিনশেড ঘরটি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। শ্রেণিকক্ষের কাঠের বেঞ্জ-টেবিলগুলোও ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। এতে করে মাদরাসা খোলার পর কীভাবে পাঠদান শুরু করবো তা নিয়েই চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছি। এই গরমের মধ্যে খোলা আকাশের নিচেই হয়তো পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, ঝড়ে ওই মাদরাসাটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জেনেছি। মাদরাসার পক্ষ থেকে সরকারি সহযোগিতার জন্য লিখিত আবেদন পেয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই মাদরাসার জন্য  প্রয়োজনীয় সহযোগিতার উদ্যোগ নেয়া হবে।  


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
আইনের মারপ্যাঁচে অনিশ্চিত ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধন - dainik shiksha আইনের মারপ্যাঁচে অনিশ্চিত ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধন ‘ঢাবির ক্লাস ও পরীক্ষা শুরু হচ্ছে শিগগিরই’ - dainik shiksha ‘ঢাবির ক্লাস ও পরীক্ষা শুরু হচ্ছে শিগগিরই’ হাই-টেক পার্কের নাম হবে জেলার নামে: উপদেষ্টা নাহিদ - dainik shiksha হাই-টেক পার্কের নাম হবে জেলার নামে: উপদেষ্টা নাহিদ দীপু মনির নামে আরেক মামলা, আসামি ৬০০ - dainik shiksha দীপু মনির নামে আরেক মামলা, আসামি ৬০০ স্কুল-কলেজে বিশৃঙ্খলা : কোথাও জবরদস্তি কোথাও পালিয়ে থাকা - dainik shiksha স্কুল-কলেজে বিশৃঙ্খলা : কোথাও জবরদস্তি কোথাও পালিয়ে থাকা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0045239925384521