কাল থেকে ভার্চুয়ালি চলবে উচ্চ আদালতের বিচার

নিজস্ব প্রতিবেদক |

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে দেশের উচ্চ আদালতের উভয় বিভাগ; আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকাজ আবারও ভার্চুয়ালি পরিচালনা করার নির্দেশনা জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। বুধবার থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নির্দেশক্রমে মঙ্গলবার এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে পৃথক সার্কুলার জারি করা হয়। ফলে উচ্চ আদালতে বিচারক, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের সরাসরি উপস্থিতিতে পরিচালিত স্বাভাবিক বিচারকাজ আপতত বন্ধ হয়ে গেল। 

এর আগে এ দিন সকালে আপিল বিভাগে দৈনন্দিন বিচারকাজ পরিচালনার সময় উপস্থিত আইনজীবীদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, চারদিকে যেভাবে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে আমাদের ভার্চুয়ালি যেতে হবে।

প্রধান বিচারপতি আরও বলে, হাইকোর্ট বিভাগের ১৩ বিচারপতি করোনা আক্রান্ত। এছাড়া আক্রান্ত হয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের অনেক স্টাফও। নিম্ন আদালতেরও অনেক বিচারক করোনা আক্রান্ত। এ অবস্থায় কোর্ট চালানো কঠিন হয়ে পড়বে। এ সময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত দেবনাথ বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলসহ আরও অনেকে করোনায় আক্রান্ত।  

এরপর মঙ্গলবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগ থেকে পৃথক এ সার্কুলার জারি করা হয়।

সার্কুলারে বলা হয়, করোনা সংক্রমিত পরিস্থিতিতে বুধবার থেকে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার আইন-২০২০ এবং এতদসংক্রান্ত জারি করা প্র্যাকটিস ডাইরেকশন অনুসরণ করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সব বেঞ্চের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে। অপর সার্কুলারে ভার্চুয়ালি আপিল বিভাগ পরিচালনার কথা জানানো হয়।

২০২০ সালে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আইন সংশোধন করে ওই বছরের ১১ মে থেকে উচ্চ আদালত ভার্চুয়ালি সীমিত পরিসরে পরিচালনা করা হয়। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হলে ২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টের উভয় (আপিল ও হাইকোর্ট) বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম শারীরিক উপস্থিতিতে স্বাভাবিক বিচারকাজ চালু করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। তবে করোনার বর্তমান পরিস্থিতিতে ফের উচ্চ আদালত ভার্চুয়ালি পরিচালনার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।

২০২০ সালে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আইন সংশোধন করে ওই বছরের ১১ মে থেকে ভার্চুয়ালি সীমিত পরিসরে উচ্চ আদালত পরিচালনা শুরু করা হয়। এরপর পরিস্থিতির উন্নতি হলে ২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর আবার শারীরিক উপস্থিতিতে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরে বিচারিক কার্যক্রম। এরমধ্যেই বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ফের এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের মানদণ্ড কী? - dainik shiksha শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের মানদণ্ড কী? অবসর-কল্যাণে শিক্ষার্থীদের দেয়া টাকা জমার কড়া তাগিদ - dainik shiksha অবসর-কল্যাণে শিক্ষার্থীদের দেয়া টাকা জমার কড়া তাগিদ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে সুপ্রিম কোর্টের ফতোয়ার রায় পাঠ্যপুস্তকে নিতে হবে - dainik shiksha সুপ্রিম কোর্টের ফতোয়ার রায় পাঠ্যপুস্তকে নিতে হবে সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি - dainik shiksha সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি - dainik shiksha বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0048959255218506