কুবিতে পরীক্ষার ফরম পূরণে ভোগান্তি, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

কুবি প্রতিনিধি |

সেমিস্টার ফাইনালের ফরম পূরণ নিয়ে নিয়মিত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি)  বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা। অবিলম্বে ফরম পূরণ প্রক্রিয়া সহজ ও আধুনিক করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬১তম একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশে এবং ৮০তম সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদনের ভিত্তিতে ফরম পূরণের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রথমে বিভাগ থেকে ফরম সংগ্রহ করার পর পূরণ করে হলে জমা দিতে হয়। তারপর সংশ্লিষ্ট হল প্রাধ্যক্ষের স্বাক্ষর শেষে ফরমগুলো নিজ নিজ বিভাগে টাকা জমার রশিদসহ জমা দিতে হয়। বিভাগ ফরমগুলো যাচাই-বাছাই করে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে পাঠায়। এতে একজন শিক্ষার্থীকে এক ভবন থেকে অন্য ভবনে আসা-যাওয়া করতে ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শাহীদ সুজন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমরা বিভাগ থেকে ফরম নিয়ে হলে গেলে অনেক সময় স্বাক্ষরের জন্য শিক্ষকদের পাই না। তখন ফরম জমা রেখে যাওয়ার জন্য বলা হয়। পরের দিন এসে সেই ফরম সংগ্রহ করে বিভাগে জমা দিতে হয়। এছাড়া শেষ তারিখ পর্যন্ত ফরম পূরণ করার ক্ষেত্রে আরো জটিলতার মধ্যে পড়তে হয়। আমরা যারা শহরে থাকি তাদের জন্য এই প্রক্রিয়াটা অনেক কষ্টকর। শহর থেকে আসা যাওয়া এবং দুই দিন ধরে ফরম নিয়ে এক ভবন থেকে অন্য ভবনে ঘোরায় আমাদের সময় ও পড়ালেখার ক্ষতি হয়।

রসায়ন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোসা. শান্তা আক্তার বলেন, এই প্রক্রিয়াটি জটিল বিষয়। এতে আমাদের নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বিভাগ থেকে ফরম নিয়ে আবার হলে জমা দেয়া, সেখান থেকে তা এনে আবার বিভাগে জমা দিতে হচ্ছে। বিভাগ যদি সকলেরটা একত্রে সমাধান করে তাহলে আমাদের শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাঘব হবে।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত)  মোহাম্মদ নূরুল করিম চৌধুরী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ফরম পূরণে সহজীকরণের প্রক্রিয়া চলছে। ইআরপি সফটওয়্যার টেন্ডার দেয়া হয়েছে। আশা করি ইআরপি সফটওয়্যারটা আমরা অল্প সময়ের মধ্যে পেয়ে যাবো। এটি পেলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এই প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য আমরা কাজ করছি। কোয়ালিটি সম্পন্ন কাজ করতে পারে এমন প্রতিষ্ঠানকেই কাজটি দেয়া হবে। আশা করি শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
অনুদান পেতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আবেদনের সময় বাড়লো - dainik shiksha অনুদান পেতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আবেদনের সময় বাড়লো চার হাজার আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha চার হাজার আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা সচিবালয় ও প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের আশপাশে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ - dainik shiksha সচিবালয় ও প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের আশপাশে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ সব দাবি-দাওয়া একমাস বন্ধ রাখার আহ্বান নুরের - dainik shiksha সব দাবি-দাওয়া একমাস বন্ধ রাখার আহ্বান নুরের মাউশি অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্বে রেজাউল করীম - dainik shiksha মাউশি অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্বে রেজাউল করীম শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর একদিনের বেতন ত্রাণ তহবিলে - dainik shiksha শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর একদিনের বেতন ত্রাণ তহবিলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পদত্যাগের জন্য বল প্রয়োগ করা যাবে না: শিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পদত্যাগের জন্য বল প্রয়োগ করা যাবে না: শিক্ষা উপদেষ্টা গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের - dainik shiksha গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের শিক্ষায় আমূল সংস্কারের উদ্যোগ নেবো: ড. ইউনূস - dainik shiksha শিক্ষায় আমূল সংস্কারের উদ্যোগ নেবো: ড. ইউনূস কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0032851696014404