কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের জন্য সুপারিশকৃত প্ল্যানিং কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন না মেনেই গঠন করার অভিযোগ উঠেছে। সেই প্ল্যানিং কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ। এদিকে আইন না মেনে প্ল্যানিং কমিটি করা হয়েছে উল্লেখ করে নিয়মানুযায়ী নিজেকে ঐ কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর একটি লিখিত আবেদনও করেছেন বিভাগের এক শিক্ষক।
শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশের জন্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সংশোধন আইন ২০১৩ এর ধারা ৩৬ (২), দ্রষ্টব্য ১০ (৮) এ প্ল্যানিং কমিটি সম্পর্কে স্পষ্ট বলা হয়েছে, বিভাগের মোট শিক্ষক সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষকের সমন্বয়ে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে বিভাগীয় প্ল্যানিং কমিটি গঠিত হবে। ইংরেজি বিভাগের বর্তমানে ১৩জন শিক্ষক রয়েছেন যার এক-তৃতীয়াংশে দাঁড়ায় ৫ জন। কিন্তু বিভাগের প্ল্যানিং কমিটি গঠন করা হয়ে মাত্র তিনজন শিক্ষক নিয়ে। গত ১২ এপ্রিল প্ল্যানিং কমিটির সভায় শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সুপারিশও করা হয়। প্ল্যানিং কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী গত ২৩ এপ্লিল একটি প্রভাষক পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয় প্রশাসন। সর্বশেষ রবিবার এ প্ল্যানিং কমিটিই আবেদন যাছাই বাছাই করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে পাঠিয়েছে।
আইন না মেনে বিভাগীয় প্ল্যানিং কমিটি গঠিত হয়েছে উল্লেখ করে গত ২৫ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বরাবর আবেদন করেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবুল হায়াত। আবেদন সূত্রে জানা যায়, ১৩ জন শিক্ষকের মধ্যে ৫ জন এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষক এবং নিয়মানুযায়ী জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে আবুল হায়াত প্ল্যানিং কমিটির সদস্য হিসেবে পরিগনিত হলেও তাকে প্ল্যানিং কমিটিতে রাখা হয়নি। বিষয়টি তিনি বারবার বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় উপস্থাপন করলেও বিভাগীয় প্রধান বিষয়টিতে কর্ণপাত করেননি বলে আবেদন সূত্রে জানা যায়। নিয়মানুযায়ী সদস্য হলেও কেন তাকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হলো না তা জানানোপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন করেন ঐ শিক্ষক। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিভাগের এক শিক্ষক জানান, বিশেষ এক প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়ার জন্যই আইন ভঙ্গ করে প্ল্যানিং কমিটি করা হয়েছে বলে ধরণা করা হচ্ছে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আলী আশরাফ বলেন, এগুলো অন্যদের ভাবার বিষয় না। নিয়ম হলো বিদ্যমান শিক্ষকদের এক-তৃতীয়াংশ নেওয়া।