কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি)‘দুর্বল’ ইন্টারনেট সেবায় ভোগান্তিতে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। সব অনুষদ, আবাসিক হল, লাইব্রেরিসহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় শিক্ষার্থীরা নিজের চাহিদামতো ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছে না।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে সম্পূর্ণ ক্যাম্পাস ওয়াইফাই আওতায় আনার পরেও ইন্টারনেট ব্যবহারে বেগ পেতে হচ্ছে তাদের। ইন্টারনেটের গতি এতই দুর্বল যে গুগলে কোন কিছু সার্চ বা ব্রাউজিং করা যাচ্ছে না। অনেক সময় পড়াশুনা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য পাওয়ার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু ধীরগতির ইন্টারনেটের জন্য তাদের পড়াশুনার বিঘ্ন ঘটছে।
ক্যাম্পাসের ইন্টারনেট গতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেরুন্নেসা সালমা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, 'আমরা দিনের বেশিরভাগ সময়ই ক্যাম্পাসে থাকি। এসময় আমাদের অ্যাসাইনমেন্ট ও রিসার্চসহ বিভিন্ন কাজের জন্য নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ দরকার হয়। কিন্তু এই নামমাত্র ইন্টারনেট সেবার জন্য বাধ্য হয়ে চড়া দামে ফোনের বিভিন্ন প্যাকেজে ডাটা কিনে প্রয়োজনীয় কাজ করতে হয়।'
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় আইসিটি সেলের সহকারী নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার মো. সাইফুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, 'আমাদের প্রজেক্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আমরা নতুন সিস্টেম সংযোজন করবো তাই শিক্ষার্থীদের একটু সমস্যা হচ্ছে। আমরা হল, ডরমেটরির প্রতিটি রুমে কানেকশন পয়েন্ট এবং ব্যক্তিগত একটি রাউটারে এক্সেস দিয়ে দেবো যাতে তারা খুব সহজেই ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে।'
এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কতদিন লাগতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ রিসার্স অ্যান্ড এডুকেশন নেটওয়ার্কের (বিডিরেন) থেকে নতুন করে বাজেট আসা এবং কাজ শেষ করা সব মিলিয়ে ৪ থেকে ৫ মাসের মতো সময় লাগবে।'