কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি, কাটেনি জনদুর্ভোগ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি |

গত এক সপ্তাহ ধরে চলা কুড়িগ্রামে বন্যার পরিস্থিতি উন্নতি হতে শুরু করলেও দুর্ভোগ কাটেনি জনসাধারণের। পানি কিছুটা কমতে শুরু করলেও  রাস্তা ঘাট তলিয়ে যাতায়াত ব্যবস্থা বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে নৌকাতে যাতায়াত করছেন মানুষজন। অনেকেই গৃহপালিত পশু নিয়ে আশ্রয় নিয়েছে সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে ও উঁচু স্থানে। এ ছাড়া জেলার ৫ হাজার ৬শ ৮৩ হেক্টর জমির আমন ধানক্ষেত তলিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন কৃষকেরা। অন্যদিকে, নদীর তীরবর্তী মানুষজন ভাঙনের মুখে পড়ে ঘর বাড়ি ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন অনেকে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় ধরলা নদীর পানি বিপদসীমা সীমার ৬৮ সেমি ও দুধকুমার নদের পানি ১৩২ সেমি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ২৩ সেমি  ও ব্রহ্মপুত্র নদের চিলামারী পয়েন্টের পানি বিপদসীমার ৩ সেমি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মুসার চরের মতিয়ার রহমান বলেন, ছেলে-মেয়ে নিয়ে গত এক সপ্তাহের বেশি খুব মসিবতে আছি। চারদিকে পানি বের হওয়ার উপায় নেই। খাটের উপর মাঁচা করে রান্না করে খাচ্ছি। একবেলা রান্না করে দুবেলা খাওয়া ছাড়া উপায় নাই। এ মুহূর্তে আমাদের শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সংকটে ভুগছি।

চিলমারীর শাখাতি ও নয়ারহাট গ্রামের মোঃ আক্কাস আলী, রহুল আমীন বলেন,গত এক সপ্তাহে আমাদের গ্রামে প্রায় ৫০-৬০টি ঘর বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। চারপাশে পানি উঁচু জায়গা না থাকায় পানির মধ্যে ঘর তুলে রেখেছি।কি করবো বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে আছি। বৃষ্টি হলে আমাদের খুব কষ্ট হয়।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন,উজানের ঢল আর বৃষ্টির পানিতে জেলায় প্রায় ৫ হাজার ৬ শত ৮৩ হেক্টর জমির আমন ধানক্ষেত তলিয়ে নষ্ট হবার সম্ভবনা রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান,কুড়িগ্রামের সবগুলো নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। আগামী ৪৮ ঘন্টায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা নেই,ফলে জেলার বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হবে।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ  জানান, বানভাসি মানুষের জন্য জেলা ও উপজেলা প্রশাসনে যথেষ্ট বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে সেগুলো বিতরণের কাজ চলছে। বানভাসীদের দুর্ভোগ কমাতে জেলায় ১৮টি স্থায়ী ও ৩৬১টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটি সংক্রান্ত শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটি সংক্রান্ত শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা প্রাথমিকের সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হাইকোর্টে স্থগিত - dainik shiksha প্রাথমিকের সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হাইকোর্টে স্থগিত আন্দোলন স্থগিত তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের, ৭ দিনের মধ্যে কমিটি - dainik shiksha আন্দোলন স্থগিত তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের, ৭ দিনের মধ্যে কমিটি পাঠ্যবই নির্ভুল করা হচ্ছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha পাঠ্যবই নির্ভুল করা হচ্ছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফের নির্দেশ ইউজিসির - dainik shiksha আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফের নির্দেশ ইউজিসির কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে পদত্যাগ করেছেন সেই তিন বিতর্কিত বিচারপতি - dainik shiksha পদত্যাগ করেছেন সেই তিন বিতর্কিত বিচারপতি কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির বিচার হওয়া উচিত: সলিমুল্লাহ খান - dainik shiksha ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির বিচার হওয়া উচিত: সলিমুল্লাহ খান বিচারকের সামনে যে হুমকি দিলেন কামরুল - dainik shiksha বিচারকের সামনে যে হুমকি দিলেন কামরুল please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0027058124542236