দৈনিকশিক্ষাডটকম, কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামের নয় উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ১ হাজার ২৪০টি। এর মধ্যে ৩৮০টিতে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য। সর্বশেষ ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের পর প্রধান শিক্ষক পদে আর কোনো নিয়োগ হয়নি বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। দেয়া হয়নি সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষকের পদোন্নতিও। ফলে এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করেন শিক্ষকরা। এতে ব্যাহত হচ্ছে নিয়মিত পাঠদানসহ প্রশাসনিক কার্যক্রম। যার প্রভাব পড়ছে এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর ওপর।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের চৈতার খামার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা আড়াই শতাধিক। বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ আটজন শিক্ষক রয়েছেন। সম্প্রতি প্রধান শিক্ষক বদলি হওয়ায় পদটি শূন্য হয়ে যায়। এর পর থেকে প্রধান শিক্ষক বা চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছাড়াই চলছে বিদ্যালয়টি।
সদর উপজেলার বাসুরভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে দেড় বছর ধরে। সেখানে একজন সহকারী শিক্ষককে দায়িত্ব দিয়ে চালানো হচ্ছে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম। একই অবস্থা জেলার নয়টি উপজেলার ৩৮০টি বিদ্যালয়ের। প্রধান শিক্ষক সংকটে বিঘ্নিত হচ্ছে সহকারী শিক্ষকদের তদারকি, শ্রেণী কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ, নিয়মিত পাঠদানসহ প্রশাসনিক কার্যক্রম।
সদর উপজেলার বাসুরভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কনা খাতুন বলেন, ‘অনেকদিন ধরে বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। যে সহকারী শিক্ষককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, তাকে প্রায় দিন প্রশাসনিক কাজে সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসে যেতে হয়। ফলে তার ক্লাসগুলো অন্য শিক্ষককে নিতে হয়। আর অন্য কোনো শিক্ষক ছুটিতে থাকলে অনেক ক্লাস নেয়া সম্ভব হয় না। প্রধান শিক্ষক না থাকায় বিদ্যালয়ের সব ক্ষেত্রেই সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।’
সার্বিক বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নেবজ উদ্দিন সরকার বলেন, ‘২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে দেয়া শিক্ষকদের পদ বিভিন্ন কারণে শূন্য হয়ে গেছে। সরকার সহকারী শিক্ষকদের পদায়নের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকের পদ পূরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে কার্যক্রম চলমান।’