জ্ঞানার্জনের জন্য বই পড়া উত্তম। এমন সাবেকি কথায় নাই বা গেলাম। তবে নিয়মিত বই পড়ার অভ্যাস থাকলে পেতে পারেন কিছু অসাধারণ সুবিধা।
প্রতিদিন নতুন কিছু জানা:
প্রতিদিন বই পড়লে জানা যায় নতুন কিছু। ভাবুন তো, পুরো জীবদ্দশায় কত নতুন বিষয় জানা সম্ভব! স্বয়ংক্রিয়ভাবেই আপনার মস্তিষ্কে মজুদ হচ্ছে নানা জ্ঞান। এত জ্ঞানের ভাণ্ডার নিয়ে নিজেকে স্মার্ট দাবি করতেই পারেন।
মনোযোগ সৃষ্টি:
কাজে মন বসছে না। বিক্ষিপ্ত মন কেন্দ্রীভূত করা দরকার। প্রতিদিন বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এটি কোনো বিষয়ের প্রতি মানুষকে আরও বেশি মনোযোগী ও ফোকাসড হতে সাহায্য করে।
অ্যালঝাইমার্স থেকে মুক্তি:
বই রোগ প্রতিরোধ করে! হ্যাঁ অনেকটা তাই। সম্প্রতি সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা জীবনে দুই থেকে আড়াইবারের কম সময় বই পড়েছে তাদের বৃদ্ধ বয়সে অ্যালঝাইমার্স সিনড্রোমের মতো স্মৃতিভ্রম রোগ হবার সম্ভাবনা বেশি। তাই বলে এই নয় যে বই পড়লে রোগটি নির্মূল হবে। কিন্তু বই পড়ার সাথে এই রোগ প্রতিরোধের কিছুটা সম্পর্ক রয়েছে।
দ্য পাওয়ার অব ইউর সাবকনশাস মাইন্ড
মানুষের প্রতি সহমর্মিতা বৃদ্ধি:
বাফেলো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় জানা যায়, বইয়ের সম্ভাব্য বাস্তবতা ও কল্পনা পাঠকের মনে নতুন আবেগ ও অনুভূতি সৃষ্টি করে। যা তাকে অন্য সংস্কৃতির মানুষকে বোঝা এবং তাদের প্রতি সহমর্মী হতে সাহায্য করে।
শব্দ ভাণ্ডার তৈরি:
আমরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শরৎচন্দ্রের উপন্যাস পড়েছি। এমন জগৎবিখ্যাত সাহিত্যিকরা বাংলা ভাষায় নতুন শব্দ যুক্ত করেছেন। তারা স্ব-ভঙ্গিমায় নতুন আঙ্গিকে বাংলা শব্দ ব্যবহার করেছেন। তাই নিজেকে দক্ষ করে তুলতে সাহিত্যচর্চার কোনো বিকল্প নেই।
মানসিক প্রশান্তি:
জীবনের যে কোনো পর্যায়ে কোনো মানসিক চাপ কিংবা অশান্তির সৃষ্টি হলে একটি বই মুক্তি দিতে পারে। আপনি কোনো সম্পর্কের টানাপোড়েন এ আছেন? মানসিক প্রশান্তি প্রয়োজন? নিশ্চিন্তে কোনো নতুন বই পড়া শুরু করতে পারেন। এটি আপনাকে প্রশান্তি দেবে।
বিশ্লেষণাত্মক চিন্তার দক্ষতা বৃদ্ধি:
ডিটেকটিভ উপন্যাস পড়া হয়েছে নিশ্চই। ফেলুদা, ব্যোমকেশ কিংবা শার্লক হোমস? একেকটি কেস সমাধান করতে কতই না কারসাজি। নানান যুক্তির সাথে মিলিয়ে খটকা দূর করা। এত কিছুর মাঝে আপনার বিশ্লেষণধর্মী চিন্তার উন্নতি না হয়ে উপায় কী?
লেখালেখির চর্চা:
একজন চিত্রশিল্পী অনুপ্রেরণা পায় বিখ্যাত চিত্রশিল্পীদের রেখে যাওয়া চিত্রকর্ম থেকে। তেমনি একজন লেখক বিখ্যাত সব লেখকদের লেখা পড়ে নিজে সাহিত্য সৃষ্টির স্পৃহা খুঁজে পায়। একজন ভালো পাঠকই একজন ভালো লেখকে পরিণত হতে পারে।
আকর্ষণীয় এবং গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব:
বই আপনাকে অন্যের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে পারে! কীভাবে? নিয়মিত বই পড়লে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান বৃদ্ধি পায়। ফলে অন্যের সাথে কথা বলার সময় স্বাভাবিকভাবেই নানান যুক্তি, উদাহরণ ও উক্তি ব্যবহার করতে পারবেন। যা নিজেকে আরও সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে সাহায্য করে।
সাকসেস থ্রো এ পজেটিভ মেন্টাল এটিটিউট
জীবনের সাথে সম্পৃক্ততা:
বই সহজ জীবনের দুয়ার খুলে দেয়। তাই আপনি কী বই পড়লেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। বরং বইটি আপনাকে ভালো রাখল কিনা এটাই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা জীবনকে জানতে সুন্দরভাবে বাঁচতে বই হয়ে ওঠে প্রধান সঙ্গী।
শত ব্যস্ততার মাঝে কিছুটা স্বস্থির খোরাক হতে পারে প্রিয় কোনো বই। তাই দিন শেষে কিছুটা সময় রাখুন একান্তই নিজের জন্য। মিতালী হোক প্রিয় বইয়ের সাথে।
স্টুডেন্টদের জন্য পড়তেই হবে এমন ৩টি বই