সাভারে কোচিং সেন্টারে পড়তে না চাওয়ায় বিপিএটিসি স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সাকিব খান (১৭) ও তার বাবাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সেখানকার পরিচালক ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত ছাত্র ও তার বাবাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ওই কোচিং সেন্টারের অন্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের জিরানী পুকুরপাড় এলাকার শিউর সাকসেস কোচিং সেন্টারে এ মারধরের ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তরা হলেন শিউর সাকসেস কোচিং সেন্টারের পরিচালক ও শিক্ষক মো. কাদের (৩৫), মো. তূর্য (২৭) ও রাসেল (৩৮)। ভুক্তভোগীরা হলেন বিপিএটিসি স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সাকিব খান (১৭) ও তার বাবা আসাদুজ্জামান খান (৪০)। তারা জিরানী পুকুরপাড় এলাকার বাসিন্দা।
এদিকে মারধরের অভিযোগে রাতেই আশুলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ছাত্রের বাবা আসাদুজ্জামান খান।
লিখিত অভিযোগ ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শিক্ষার্থী সাকিব খান একসময় জিরানীর শিউর সাকসেস কোচিং সেন্টারে পড়ত। তবে কিছুদিন হলো সে কোচিং সেন্টারটি বাদ দিয়ে প্রাইভেট পড়া শুরু করেছে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে কোচিং সেন্টারের পরিচালক কাদের সাকিবের মা শাহিলা খাতুনকে মুঠোফোনে গালিগালাজ করেন। বিষয়টি জানতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রথমে সাকিব ওই কোচিং সেন্টারে গেলে তাকে আটকে রেখে মারধর করে কাদের, তূর্য ও রাসেল। পরে মারধরের খবর পেয়ে সাকিবের বাবা বিষয়টি সমাধান করতে কোচিং সেন্টারে গেলে তাকেও পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। একপর্যায়ে স্থানীয়রা বিষয়টি জানতে পেরে ভুক্তভোগী বাবা-ছেলেকে উদ্ধার করে জিরানী কোরিয়া মৈত্রী হাসপাতালে ভর্তি করেন।
মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে শিউর সাকসেস কোচিং সেন্টারের পরিচালক কাদের বলেন, আমার এখানে ছেলেটি সাত বছর পড়াশোনা করেছে। কিছুদিন আগে মেয়েলি ঝামেলায় ফেঁসে গিয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে আমি কথা বলায় তারা এসে আমার ওপর হামলা করে। আমি এ বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ করেছি।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা বলেন, ঘটনাটি আমাকে থানা থেকে জানানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।