সরকারি চাকরিতে প্রবেশে যারা বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য সংরক্ষিত ৩০ শতাংশ কোটাকে যারা সমর্থন করেন না তাদের ফেসবুক থেকে আনফ্রেন্ড করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দীন। শুক্রবার (১১ জুলাই) এক ফেসবুক পোস্টে তিনি বিষয়টি জানান।
ফেসবুক পোস্টে আ ক ম জামাল উদ্দীন লেখেন, ‘আপনারা যারা বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা সমর্থন করেন না, তারা আমাকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাবেন না। আর সবাইকে আনফ্রেন্ড করা হয়েছে।’
অধ্যাপক জামাল উদ্দীনের এ স্ট্যাটাস নিয়ে চলছে সমালোচিনা। আকরাম হোসাইন নামে এক ঢাবি শিক্ষার্থী তার পোস্টে মন্তব্য করেছেন, ‘৩০ লাখ শহীদের পরিবারের জন্য কোটা কই? তাদের তালিকা বের করে তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার উদ্যোগ কেন নেয়া হলো না?’
মোজাম্মেল হক নামে এক শিক্ষার্থী লেখেন, ‘আপনাকে কোন পাগলে ফ্রেন্ডলিস্টে রাখবে?’
এর আগে, গত ৬ জুলাই বর্তমানে চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকায় ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহ-শিক্ষামূলক বিতর্ক সংগঠন সোসিওলজিক্যাল ডিবেটিং সোসাইটির (এসডিএস) সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসাইনকে অব্যাহতি দেন সংগঠনটির মডারেটর অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দীন। এর প্রতিবাদে সংগঠনটিতে থাকা ২০২১-২২ সেশনের ২২ জন বিতার্কিক একযোগে পদত্যাগ করেন।
এ ছাড়া গত ২৬ জুন রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সিনেট অধিবেশন চলাকালে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটার যৌক্তিকতা বোঝাতে পবিত্র কোরআনের সুরা আনফালের একটি আয়াতকে ‘প্রমাণ’ হিসেবে দেখিয়ে বক্তব্য দেন অধ্যাপক জামাল। এ সময় তিনি কোটাবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়দের ‘স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবির’র কর্মী বলে আখ্যা দেন। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে সংগঠিত কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদেরও সমালোচনা করেন এ শিক্ষক।