কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী ও কোটার পক্ষের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষে ইডেন ও তিতুমীর কলেজের ১৩ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এরমধ্যে তিতুমীরের ৯ ও ইডেন কলেজের ৪ জন। আহতদের মধ্যে ২ জন ছাত্রীও রয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সাত কলেজের পেজ থেকে এমন তথ্য জানানো হয়। তথ্যমতে তিতুমীর কলেজের আহত শিক্ষার্থীরা হলেন- সুজন, শামিম, সাখাওয়াত, আফতাব, সুমনা, আসমানি, জুবায়ের, নোমান নিরব ও আসমানি।
অন্যদিকে ইডেন কলেজের আহতরা হলেন- মার্কেটিংয়ের মাস্টার্সের ছাত্রী ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফন্টের ইডেন কলেজ শাখা সভাপতি শাহিনুর সুমি (২৮), ম্যানেজমেন্টের সায়মা আফরোজ (২৫), রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষের তামান্না (২২) ও দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সানজিদা (২১)।
এদিকে এখন পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
সর্বশেষ তথ্যমতে ঢাকা মেডিক্যাল, দোয়েল চত্বর এবং ঢাবির শহীদুল্লা আবাসিক হলের সামনে ছাত্রলীগ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে।
তবে এ সময় পুলিশের কোনো উপস্থিতি লক্ষ করা যায়নি। প্রথম দফা সংঘর্ষের সময়েও তাদের দেখা মেলেনি। যদিও প্রথম দফায় সংঘর্ষের পর ক্যাম্পাসে পুলিশ সদস্যদের ঢুকতে দেখা গিয়েছিল।
এরআগে, দুপুর ২টার পর থেকে ঢাবি ক্যাম্পাসে দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিবেদকরা জানিয়েছেন, শুরুতে বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে অংশ নিলেও পরে অন্যান্য হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরাও যোগ দেন। বিজয় একাত্তর হলের সংঘর্ষের রেশ ছড়িয়ে পড়ে পুরো ক্যাম্পাসে। পরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের হটিয়ে ক্যাম্পাসের নিয়ন্ত্রণ নেন। এদিকে সংঘর্ষের পর পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে শিক্ষার্থীদের ছেঁড়া জুতা, ভাঙা চশমা, লাঠি, কাঠ ও বিভিন্ন গাছের ডাল পড়তে থাকতে দেখা যায়।