চট্টগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের হামলায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন বিক্ষোভে অংশ নেয়া হাসনাতুল জারিয়া। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে নগরীর দুই নম্বর গেটে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া ও লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এ সময় ঘাড়ে পুলিশের লাঠির আঘাত পেয়ে নিচে পড়ে যান জারিয়া। পরে আরেক পুলিশের বুটের পাড়ায় পায়ে আঘাত পান জারিয়া। বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) জরুরি বিভাগে পর্যবেক্ষণে আছেন তিনি।
আহত হাসনাতুল জারিয়া চট্টগ্রাম সরকারী মহসিন কলেজের স্নাতক ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী। হামলার পর জারিয়ার সহপাঠীরা তাকে প্রায় ১ ঘণ্টা পর খুঁজে পান। পরে তাকে চমেকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে পর্যবেক্ষণে রাখেন।
জারিয়ার সঙ্গে হাসপাতালে অবস্থান করা সহপাঠী লাবনী আক্তার জানান, ঘাড়ে প্রচন্ড আঘাত পেয়েছেন জারিয়া। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা এক্সরে করেছেন। ডাক্তাররা ধারণা করছেন, হাড়ে ফাটল বা মারাত্মক আঘাত পেয়েছেন জারিয়া। আজ ব্যথা কমলে আরেকটি এক্সরে করা হবে। তবে শুক্রবার হওয়ায় এখনও ডাক্তার আসেননি। এছাড়াও পুলিশের বুটের আঘাতে জারিয়া পায়েও বেশ আঘাত পেয়েছেন বলে জানান লাবনী আক্তার।
গতকাল চট্টগ্রাম নগরীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সিআরবি মোড়ে বাধা দেয় পুলিশ। প্রায় আধঘণ্টা বাগবিতন্ডার পর পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যান শিক্ষার্থীরা। তবে দুই নম্বর গেট মোড়ে শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এ সময় নারী শিক্ষার্থীসহ আহত হয়েছেন পাঁচজনের অধিক। পুলিশের লাঠিচার্জসহ চড়-থাপ্পড় এবং নারী শিক্ষার্থীদের চুল ধরে আঘাতের অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। হামলার পর শিক্ষার্থীরা দুই নম্বর গেট এলাকায় জড়ো হয়ে আহতদের নিয়ে জোরালো বিক্ষোভ করতে থাকেন।
তবে এসব হামলার কথা অস্বীকার করে পুলিশের ডিসি মোখলেসুর রহমান সমকারকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ওপর আমরা কোনো হামলা করিনি। ওরা আমাদের ব্যারিকেড দিয়েছিলাম। আমরা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম। পরে ভেঙে মিছিল নিয়ে চলে যায় তারা।’