শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, সেহেতু আমরা সরকারে আছি তাই আইনের শাসনের প্রতি আমাদের অবশ্যই শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। কোটার বিষয়টি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। এ বিষয়ে কোনো রায় সর্ব্বোচ্চ আদালত থেকে না আসলে মন্তব্য করা আদালত অবমাননার শামিল। আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দেয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
রোববার (৭ জুলাই) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির অডিটোরিয়ামে ইউনিটির সদস্যদের মেধাবী সন্তানদের সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কোটা বিষয়য়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমি বলতে চাই, অনেক সময় জনপ্রিয় অনেক বিষয়কে পুঁজি করে ষড়যন্ত্রকারীরা অস্থিতিশীল পরিস্থিত তৈরি করতে চায়। সেই ফাঁদে যাতে আমরা পা না দিই। আদালতের সিদ্ধান্তের পরে নির্বাহী বিভাগ সেটা বাস্তবায়ন করে। সেটার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।
আদালতে একটা বিষয় বিচারাধীন আছে সেটা সমাধান হওয়ার আগেই বিচারাধীন বিষয় নিয়ে রাস্তায় নেমে আসলাম, রাস্তাঘাট ব্লক করে দিলাম। এর পেছনে স্বাভাবিকভাবেই আমাদের প্রশ্ন থাকতে পারে গভীর ষড়যন্ত্র আছে কি না। কারণ, স্থিতিশীলতাকে বিনিষ্ট করতে অনেকেই অনেকভাবেই উসকানি দেয়। ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছিলো ষড়যন্ত্রকারীদের কাজ, যোগ করেন তিনি।
মহিবুল হাসান চৌধুরী আরো বলেন, স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্তিতি সৃষ্টি করা, যেখানে প্রগতিশীল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে বার বার এমন একটা পরিস্থির মধ্যে ফেলে দেয়া হয় যেখানে প্রতিক্রিয়াশীল পশ্চিমারা বারবার এগিয়ে যায়। সেই ধরনের প্রচেষ্টা হয়েচ্ছে কি না সেটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে।
তিনি বলেন, কোটার প্রশ্নে মেধাবী এবং কম মেধাবী নাকি জেলাভিত্তিক সেটাতো একটা খুবই সাবজেক্টিভ বিষয়। আমরা জানি যে মেধা ভালো না করে একজন শিক্ষার্থীর পক্ষে কোনোভাবেই প্রাথমিক ধাপ অতিক্রম করা সম্ভব নয়। তার পরবর্তী ধাপ কীভাবে নির্ধারিত হবে সেটিতো আদালতে পেনডিং আছে সেটা নিয়ে আমি মন্তব্য করতে চায় না।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশের বাইরে অনেকেই অপপ্রচার করেন। আজকে যারাই এই আন্দোলন করছেন, এই আন্দোলন তাদের রাজনৈতিক অধিকার হিসেবে করতে পারছেন। এটা কি প্রমাণ করে না বাংলাদেশে রাজনৈতিক অধিকার প্রশ্নে বঙ্গব্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সরকারের কারো ওপর বিধিনিষেধ নেই।