চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষা আগামী ৩০ এপ্রিল শুরু হচ্ছে। ২৩ মে পর্যন্ত চলবে এসএসসির লিখিত পরীক্ষা। আর ২৪ থেকে ৩০ মের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা নেয়া হবে। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১ টা পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষা চলবে। সোমবার এসএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে।
জানা গেছে, ৩০ এপ্রিল বাংলা প্রথম পত্র ও সহজ বাংলা প্রথম পত্র বিষয়ের পরীক্ষার মাধ্যমে শুরু হবে এসএসসি পরীক্ষা। ২ মে বাংলা দ্বিতীয় পত্র ও সহজ বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৩ মে অনুষ্ঠিত হবে ইংরেজি প্রথম পত্র পরীক্ষা। ৭ মে অনুষ্ঠিত হবে ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা।
৯ মে অনুষ্ঠিত হবে গণিত পরীক্ষা। ১০ মে অনুষ্ঠিত হবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পরীক্ষা। ১১ মে হবে ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের পরীক্ষা।
১৪ মে অনুষ্ঠিত হবে পদার্থবিজ্ঞান, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা এবং ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং পরীক্ষার, ১৫ মে হবে গার্হস্থ্যবিজ্ঞান, কৃষি শিক্ষা, সংগীত, আরবি, সংস্কৃত, পালি, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া এবং চারু ও কারুকলা পরীক্ষা।
১৬ মে অনুষ্ঠিত হবে রসায়ন, পৌরনীতি ও নাগরিকতা এবং ব্যবসায় উদ্যোগ পরীক্ষা হবে। ১৭ মে হবে ভূগোল ও পরিবেশ বিষয়ের পরীক্ষা। ১৮ মে অনুষ্ঠিত হবে জীববিজ্ঞান ও অর্থনীতি বিষয়ের পরীক্ষা। ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে বিজ্ঞান ও উচ্চতর গণিত পরীক্ষা। ২২ মে হবে হিসাববিজ্ঞান পরীক্ষা। ২৩ মে বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় পরীক্ষার মাধ্যমে শেষ হবে এসএসসির লিখিত পরীক্ষা।
জানা গেছে, ২৪ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৬ মের মধ্যে ব্যবহারিকের উত্তরপত্র ও স্বাক্ষরলিপি এবং আনুষাঙ্গিক কাগজপত্র বোর্ডের মাধ্যমিক শাখায় পাঠাতে হবে কেন্দ্রগুলোকে।
এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে পরীক্ষার্থীদের একগুচ্ছ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদেরকে পরীক্ষা কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। প্রথমে বহুনির্বাচনি ও পরে সৃজনশীল বা রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং উভয় পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না। পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে পরীক্ষা আরম্ভের কমপক্ষে তিন দিন আগে সংগ্রহ করবে।
শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়গুলোর এনসিটিবির নির্দেশনা অনুসারে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে ধারাবাহিক মূল্যায়নে পাওয়া নম্বর বোর্ডের ওয়েবসাইটে অনলাইনে পাঠাবে।
পরীক্ষার্থীদের নিজ নিজ উত্তরপত্রের ওএমআর ফরমে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না। পরীক্ষার্থীকে সৃজনশীল বা রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক অংশে পৃথকভাবে পাস করতে হবে। প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল রেজিস্ট্রেশন কার্ডে উল্লেখিত বিষয়গুলো পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কোন অবস্থাতেই ভিন্ন বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
কোনো পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নিজ বিদ্যালয়ে বা প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে না। পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করতে হবে। পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। কেন্দ্র সচিব ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি বা পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন আনতে এবং ব্যবহার করতে পারবেন না। সৃজনশীল বা রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর উপস্থিতির জন্য একই উপস্থিতি পত্র ব্যবহার করতে হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা কেন্দ্র বা ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার ফল প্রকাশের সাত দিনের মধ্যে পুনঃনিরীক্ষার জন্য এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।