ক্রেতা না থাকায় পঁচে যাচ্ছে ছাগলের চামড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক |

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদরাসা ও এতিমখানার সামনে পড়ে আছে কোরবানি হওয়া ছাগলের চামড়া। রাত পর্যন্ত দেখা মিলেনি ক্রেতার। 

ঈদের দিন রাতে রাজধানীর খিলগাঁও, শাহজাহানপুর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। 

কোরবানি হওয়ার পর বাসাবাড়ি থেকে নিয়ে আসা ছাগলের চামড়ার ক্রেতা না পেয়ে মাদরাসা ও এতিমখানাগুলো লোকসানের মুখ দেখছে বলেও দাবি করেন তারা।  ক্রেতা না পেলে অন্যবারের মতো এবারও ডাস্টবিনে চামড়া ফেলে দিতে বাধ্য হবেনও বলে জানান তারা। 

আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা

খিলগাঁও মারজানুল উলূম মাদরাসার (চৌরাস্তা মাদরাসা) সিনিয়র শিক্ষক ওসমান গণি সমকালকে বলেন, ‘সারা দিনে কোরবানির প্রায় ১৩০টি খাসির চামড়া দান হিসেবে পেয়েছি। কেউ যদি প্রতি পিস চামড়ার দাম ৩-৪ টাকাও দিত, বিক্রি করে দিতাম। গরুর চামড়ার ক্রেতা মিললেও, ছাগলের চামড়ার কোনো ক্রেতাই নেই ‘

একই কথা জানালেন তিলপাপাড়া মদীনাতুল উলূম ইসলামিয়া এবং মোহাম্মদিয়া হাফিজিয়া উলূম মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকরা। দুই মাদরাসার সামনে আড়াইশরও বেশি ছাগলের চামড়া পড়ে ছিল।

রাত ৯টায় মোহাম্মদিয়া হাফিজিয়া উলূম মাদরাসার শিক্ষক মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘দুপুর থেকে খিলগাঁও রেলগেটে ক্রেতার আসায় বসে আছি। ক্রেতা না পেলে গত বছরের মত এ বছরও এ চামড়া ডাস্টবিনে ফেলে দিতে হবে।’ 

আরেক শিক্ষক ওসমান গণি বলেন, ‘গত তিন বছর ধরে ছাগলের চামড়া নিয়ে এ অবস্থা চলছে। তবে এর কারণ জানা নেই। ৩-৪ বছর আগে ছাগলের চামড়া প্রতি পিস ২৫ টাকা দরে বিক্রি হলেও গত বছর ৫ টাকা দামও কেউ দিতে চায়নি। এ বছর ক্রেতাই নেই।’

খিলগাঁও শান্তিপুর জামে মসজিদ মাদরাসার লোকজনদের ছাগলের চামড়া ফেরত দিতে দেখা গেছে। 

বুধবার দুপুরে স্থানীয় এক বাসিন্দা কোরবানির পর ছাগলের চামড়া মাদরাসা দান করতে আসলে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় বলে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

মাদরাসার একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, ‘বিক্রি হলে প্রতি পিস ৫ টাকা মিলবে কি-না, সন্দেহ। বিক্রি না হলে এটা নষ্ট করতে খরচ হবে তারও বেশি। এ কারণে এ দান নেওয়ার থেকে না নেওয়াই ভালো।’


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা - dainik shiksha শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0025870800018311