পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় ক্রেন ছিড়ে পড়ে ঈসা হাওলাদার (২৫) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার ৫নম্বর ধাওয়া ইউনিয়নের স্থানীয় রাজপাশা গ্রামের নুরুল কুরআন নুরানী হাফিজিয়া মাদরাসার ও এতিমখানার দ্বিতীয় তলার ছাঁদের ঢালাইয়ের কাজ চলাকালীন সময় এ ঘটনা ঘটে।
ঈসা ধাওয়া রাজপাশা গ্রামের সত্তার হাওলাদারের ছেলে এবং আমান উল্লাহ কলেজের এবছরের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। জানা গেছে, মাদরাসা কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠানটির সংস্কার ও সম্প্রসারণের কাজ চলছিল। ওই মাদরাসা সম্প্রসারণে দিনমজুরের কাজ করছিল শিক্ষার্থী ঈসা।
নিহত ঈসার সহকর্মী বরকত উল্লাহ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সন্ধ্যায় ঢালাই শেষে তারা নিচে কাজ করছিল। এসময়ে হঠাৎ বিকট শব্দ শুনে এগিয়ে আসলে ঈসাকে অজ্ঞান অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন। দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফয়সাল তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
রাজপাশা নুরুল কুরআন নুরানী হাফিজিয়া মাদরাসার ও এতিমখানার মোহতামিম আমান উল্লাহ আমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, সকাল আটটা থেকেই কাজ শুরু করার কথা থাকলেও মেশিনের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিলম্ব হয়। মাগরিবের নামাজ চলাকালীন এ ঘটনা ঘটেছে। শুনেছি যখন উপরে মেশিন খোলা হচ্ছিল তখন নিচে থাকা শ্রমিকদের বলা হয়নি।
নিহত ঈসার বড় ভাই মনির হাওলাদার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, করোনায় কলেজ বন্ধ থাকায় সংসারের হাল ধরতে সে পড়ালেখার পাশাপাশি দিনমজুর হিসেবে কাজ করতো।
ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান টুলু ঈসার মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ঢালাই কাজে সংশ্লিষ্টদের অসতর্কতার জন্য ছেলেটির মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে ভাণ্ডারিয়া থানার ওসি মো. মাসুমুর রহমান বিশ্বাস দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, মঙ্গলবার সকালে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।