শনিবার এক আলিম পরীক্ষার্থী ছাত্রীর গায়ে আগুন দিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনার পর ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসায় আজ রোববার (৭ এপ্রিল) কোনো ক্লাস হয়নি। ক্লাস বন্ধের বিষয়টি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জানানোয় না হওয়াতে সকালে মাদরাসার এসে গেটে ভিড় ।
শিক্ষার্থীরা জানায়, শনিবার সকালে তারা ক্লাস শেষ করে বাড়িতে চলে যায়। এরপর কখন মাদরাসা বন্ধ করা হয়েছে তা তারা শোনেনি। এ জন্য তারা আজ সকালে ক্লাস করতে আসে। গেট বন্ধ দেখে তারা মাদ্রাসার সামনের সড়কে অবস্থান করে। কিছুক্ষণ পর মাদ্রাসার এক অফিস সহকারী এসে মাদ্রাসা বন্ধের বিষয়টি তাদের জানায়।
মাদরাসার শিক্ষক আবুল খায়ের ও রেজাউল হক বলেন, তাঁরাও মাদরাসা বন্ধের বিষয়টি শুনেননি। তাঁরা ক্লাস নিতে মাদরাসায় যান। ভেতরে ঢোকার পর অফিস সহকারীর মাধ্যমে তাঁরা জানতে পারেন, মাদরাসা আগামী ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সোহেল পারভেজ বলেন, গতকাল মাদরাসায় ঘটে যাওয়া ঘটনার কারণে শুধুমাত্র আজকের জন্য মাদরাসা বন্ধ রাখা হয়েছে। আজ মাদরাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) পিকেএম এনামুল করিমের দপ্তরে জরুরি সভা ডাকা হয়েছে। ওই সভায় মাদরাসার ভেতরে আগুনে দগ্ধ হওয়া শিক্ষার্থীর ঘটনা এবং মাদ্রাসায় ক্লাস চলবে কিনা, তা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সোনাগাজী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন বলেন, মাদ্রাসাটি পুলিশ পাহারায় রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় মাদ্রাসার একজন শিক্ষক ও এক ছাত্রকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।
গত ২৭ মার্চ ওই ছাত্রীকে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা শ্লীলতাহানি করেন অভিযোগে মামলা হয়েছে। ছাত্রীর মায়ের করা মামলায় অধ্যক্ষ এখন কারাগারে। ওই ছাত্রীর ভাইয়ের অভিযোগ, গতকাল তাঁর বোন পরীক্ষা দিতে গেলে অধ্যক্ষের অনুগত কয়েকজন শিক্ষার্থী ওই ছাত্রীকে মামলা তুলে নিতে বলে। ছাত্রীটি রাজি না হওয়ায় তাঁর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় তারা। মেয়েটি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন।