এখন পর্যন্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবস্থা খুবই স্থিতিশীল। উনি যথেষ্ট ভালো আছেন। এভাবে যদি আরও এক সপ্তাহ পার হওয়া যায়, তাহলে তিনি বিপদমুক্ত হয়ে যাবেন। আজ সোমবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবনের সামনে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক মেডিসিন ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ এফ এম সিদ্দিকী।
এর আগে বিকেল পাঁচটার দিকে খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় প্রবেশ করেন চারজন চিকিৎসক। ঘণ্টাখানেক তাঁরা খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। তাঁর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন।
বেরিয়ে এসে এফ এম সিদ্দিকী সাংবাদিকদের আরও বলেন, ‘আজকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে সমস্ত রিপোর্ট মূল্যায়ন করেছি। রিপোর্ট দেখার পর প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা শুরু করে দিয়েছি। প্রতিদিন খুব নিবিড়ভাবে ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছি এবং প্রতি রাতে এসব পর্যবেক্ষণ পুনর্মূল্যায়ন করছি।’
এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘আমরা দেখে এসেছি উনি খুব ভালো আছেন। এখন পর্যন্ত ওনার কোনো টেম্পারেচার নেই। ওনার খাওয়ার রুচি ঠিক আছে। উনি ঘ্রাণ পাচ্ছেন এবং স্বাভাবিক চলাফেরাও ব্যাহত হয়নি।’
বার্ধক্যের কারণে আগে থেকেই নানা ধরনের জটিলতায় ভুগছিলেন খালেদা জিয়া। তাঁর রোগ প্রতিরোধক্ষমতা সম্পর্কে জানতে চাইলে এফ এম সিদ্দিকী বলেন, ওনার রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ভালো আছে।
এফ এম সিদ্দিকীর সঙ্গে আরও যে তিনজন চিকিৎসক ছিলেন, তাঁরা হলেন এ জেড এম জাহিদ, আব্দুস শাকুর ও মো. আল মামুন। এর আগে গতকাল রোববার বিকেলে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয় খালেদা জিয়া করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আগের দিন শনিবার তিনি করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা জমা দিয়েছিলেন।