১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কীভাবে সন্ত্রাসীদের দিয়ে ক্ষমতা দখল এবং খুনিদের নিয়ে সংসদ গঠন করেছিলেন সেই চিত্র তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ‘১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ ফেব্রুয়ারি: সন্ত্রাসীদের দিয়ে ক্ষমতা দখল এবং খুনিদের নিয়ে সংসদ গঠন’ শিরোনামে তথ্যচিত্রসহ একটি পোস্ট দেন তিনি।
জয় লিখেছেন, দীর্ঘ পাঁচ বছর জনগণের ওপর নির্যাতন ও শোষণ চালানোর পর গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাহস হারিয়ে ফেলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তাই দলীয় ক্যাডারদের মাধ্যমে একটি একতরফা সাজানো নির্বাচনের মাধ্যমে ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ ফেব্রুয়ারি অগণতান্ত্রিক উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন তিনি। এমনকি সেই সাজানো নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দল অংশ না নেয়ায়, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের খুনি রশীদকে কুমিল্লা থেকে এমপি বানিয়ে সংসদের বিরোধীদলীয় নেতার আসনে বসান।
এর আগে গত বুধবার (১৯ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে অপর একটি তথ্যচিত্র আপলোড করে পোস্ট দেন জয়। সেখানে জয় লেখেন, ‘১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে পাকিস্তানিদের কাছ থেকে বিজয় ছিনিয়ে আনার পরও বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে সংগ্রাম করতে হয়েছে আরও অনেক বছর। ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর দেশে শুরু হয় পাকিস্তানি ধারার স্বৈরশাসন।’
প্রধানমন্ত্রীর পুত্র আরও লেখেন, ‘নিজেদের অপশাসনকে বৈধতা দিতে আইয়ুব-ইয়াহিয়ার মতোই পদ্ধতি অবলম্বন করে দেশের গণতন্ত্রকে ভুলুন্ঠিত করে মোশতাক, জিয়া ও এরশাদ। স্বাধীনতার পর থেকে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি জামায়াতে ইসলামীকে এ দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরাই শোষণ করে দেশে রাজনীতি করার সুযোগ দেয়। আবারও পাকিস্তানের গোলামী করার আকাঙ্ক্ষায় দেশকে ডোবাতে থাকে দিনের পর দিন। এই স্বৈরাচারী-উগ্রবাদীদের হিংস্র থাবার মোকাবিলা করে দেশে বার বার গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনে আওয়ামী লীগ।’