গুচ্ছভুক্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম। গুচ্ছে অংশ নিয়ে টানা দুই বছর এই প্রতিষ্ঠানটি প্রথম বর্ষের ক্লাস বিলম্বে হয়েছে। প্রথমবারে অনান্য বর্ষের থেকে দেরিতে প্রথম টার্মের ক্লাস পরীক্ষা শুরু করে অনান্য বর্ষের সাথে সমন্বয় করা হয়েছিল। এবারও টানা সপ্তম মেধাতালিকা প্রকাশ করেও পুরো আসন সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, গুচ্ছে অংশ নিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় নিজ জৌলুস হারিয়েছে শিক্ষার্থী ভর্তিপ্রক্রিয়ায়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছেন, প্রথম বর্ষের ক্লাস দেরিতে শুরু হলেও যথাসময়ে তাদের টার্ম শেষ করে বাকি বর্ষের সাথে সমন্বয় করা হবে। প্রয়োজনে অনলাইনে ক্লাস নেওয়া হতে পারে। এসব ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সপ্তম মেরিট পর্যন্ত মোট ১১০৯ আসনের প্রায় ৮০০ সিটে শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন। তবে আরও দু-একটা মেরিট প্রকাশ করে দুই সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষার্থী ভর্তি করে খুব শিগগিরই ক্লাস শুরু করা হবে। গুচ্ছতে যখন বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্ভুক্ত ছিল না তখন দু-তিন মেরিট প্রকাশ করার সাথেই শিক্ষার্থী ভর্তি হয়ে যেত। কিন্তু গত দুই বছর গুচ্ছের জটিলতায় সেটা আর সম্ভব হয়নি। মূলত গুচ্ছের ভর্তিপ্রক্রিয়া দেরিতে শুরু হওয়া এবং মাইগ্রেশন জটিলতায় শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা।
একাডেমিক সূত্রে জানা যায়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল বর্ষের ক্লাস-পরীক্ষা একই সাথে অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর প্রথম বর্ষ ছাড়াই একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন করা হয়েছে। গত বছরের মতো এবারও শিক্ষার্থী ভর্তি করেই তাদের জন্য একাডেমিক ক্যালেন্ডার করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক খান গোলাম কুদ্দুস বলেন, গুচ্ছের প্রথম দিকে হওয়ায় মানিয়ে নিতে সমস্যা হচ্ছে। তবে এ সমস্যা কেটে যাবে। সে ক্ষেত্রে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় গতবারের মতো এবারও অনান্য বর্ষের সাথে প্রথম বর্ষের ক্লাস-পরীক্ষা সমন্বয় করা হবে। কোনো ধরনের সেশন জটিলতায় পড়ার আশঙ্কা নেই। সে ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তৎপর রয়েছে।