খুবি শিক্ষার্থী ইমামুলের পর এবার হাসপাতাল থেকে অনশনে ফিরলেন মোবারক

নিজস্ব প্রতিবেদক |

বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসা দুই শিক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। দুজনই এখন আবার অনশনস্থলে গিয়ে অনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন।

আজ মঙ্গলবার চারটার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সরাসরি অনশনস্থলে গিয়ে আবার অনশন কর্মসূচি শুরু করেন মোহাম্মদ মোবারক হোসেন ওরফে নোমান। তিনি বাংলা ডিসিপ্লিনের (বিভাগ) শিক্ষার্থী। তাঁর স্থলে অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছিলেন একই ডিসিপ্লিনের মোজাহিদুল ইসলাম। গত রোববার মোবারক হোসেনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।

এর আগে গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হাসপাতাল থেকে সরাসরি অনশনস্থলে গিয়ে আবার অনশন কর্মসূচি শুরু করেন ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের (বিভাগ) ইমামুল ইসলাম। শনিবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে অসুস্থ ইমামুল ইসলামকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। হাসপাতালে নেওয়া হলেও ওই শিক্ষার্থীর জায়গায় জোবায়ের হোসেন নামের একই ডিসিপ্লিনের আরেক শিক্ষার্থী অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছিলেন।

১৯ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাতটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন ইমামুল ও মোবারক। ২১ জানুয়ারি বেলা ১১টার দিকে অনশনরত মোহাম্মদ মোবারক হোসেন ওরফে নোমান অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়। ২২ জানুয়ারি দুপুর থেকে স্যালাইন দেওয়া হয় ইমামুল ইসলামকেও। রোববার তাঁরা বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে উপাচার্যের কাছে লিখিত আবেদন করেছিলেন, কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

আজ দুপুরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ এবং প্রকাশনা বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির অফিস উদ্বোধন করেছেন উপাচার্য। সেখানেও ওই দুই শিক্ষার্থীর বিষয়ে কথা বলেন উপাচার্য মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান। উপাচার্য বলেছেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে গত কয়েক দিন একটি বিষয় নিয়ে যে অবস্থা চলছে তা সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত। শিক্ষকেরা কখনোই ছাত্রের অমঙ্গল চান না। তাঁরা চান ভুলের জন্য শিক্ষার্থীদের উপলব্ধি বা অনুশোচনা বোধ জাগুক, যাতে তাঁরা ভবিষ্যতে চলার পথে সচেতন হন, শিক্ষা নেন।

উপাচার্য বলেন, বিষয়টি জটিল না করে সহজে গ্রহণযোগ্য একটি সমাধানে উপনীত হওয়া যেত। দুজন শিক্ষার্থী শৃঙ্খলা বোর্ডের পত্রের জবাবে শুধু এটুকু লিখলে পারতেন যে সে দিনের ঘটনায় তাঁরা শ্রদ্ধেয় কোনো শিক্ষককে ইচ্ছাকৃত কষ্ট দিতে চাননি। যদি কোনো শ্রদ্ধেয় শিক্ষক ওই সময়ের ঘটনায় কষ্ট পেয়ে থাকেন, তা হলে তাঁরা দুঃখ প্রকাশ করছেন। কিন্তু তাঁরা তা না করে যে জবাব দিয়েছেন, তার মধ্যে জটিলতার আশ্রয় নেওয়া হয়েছে, ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে। এটা দুঃখজনক। তাঁদের এ বিষয়কে কেন্দ্র করে রাজনীতিমুক্ত এ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি প্রবেশ করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাতন্ত্র্য ও ভাবমূর্তি নষ্টে উদ্দেশ্যমূলক, অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে। রাজনৈতিক দলের ব্যানারে কর্মসূচি দেওয়া হচ্ছে। এটা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জিত সুনামই কেবল নষ্ট করছে তা নয়, এটা স্বায়ত্তশাসিত এ প্রতিষ্ঠানের জন্য হুমকিস্বরূপ। 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
নতুন শিক্ষাক্রমের ৩১ পাঠ্যবইয়ে ১৪৭ ভুল - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রমের ৩১ পাঠ্যবইয়ে ১৪৭ ভুল বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ ছাত্র আহত, হাসপাতালে ১১ - dainik shiksha বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ ছাত্র আহত, হাসপাতালে ১১ যতো লিখেছি, ছিঁড়েছি তার বেশি - dainik shiksha যতো লিখেছি, ছিঁড়েছি তার বেশি তত্ত্বাবধায়ককে বাধ্য করে ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি - dainik shiksha তত্ত্বাবধায়ককে বাধ্য করে ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ - dainik shiksha সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই - dainik shiksha শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই বিদ্যালয়ের ক্লাস থামিয়ে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী - dainik shiksha বিদ্যালয়ের ক্লাস থামিয়ে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0033090114593506