প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বহুল প্রতীক্ষিত নিয়োগ বিধিমালা অনুমোদিত হওয়ায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন ও সচিব ফরিদ আহাম্মদকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কর্মকতারা। রোববার সচিবালয়ে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের শুভেচ্ছা জানানো হয়।
প্রতিমন্ত্রী, সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মহিউদ্দীন আহম্মেদ তালুকদার বলেন, বিগত প্রায় ৩০ বছর প্রাথমিক শিক্ষায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপযু্ক্ত কোনো নিয়োগ বিধি না থাকার কারণে দীর্ঘদিন ধরে সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছিলেন, নিয়োগ বিধি অনুমোদন হওয়ায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হল। এছাড়া নিয়োগ বিধি না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে কোন জনবল নিয়োগ দেয়া সম্ভব হচ্ছিল না, এতে করে অধিদপ্তর ও মাঠ পর্যায়ের অফিসগুলোতে তীব্র জনবল সংকট বিরাজ করছিলো। যাতে দৈনন্দিন কাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছিলো। নিয়োগ বিধি পাসের ফলে জনবল নিয়োগে আর কোন বাধা থাকলো না।
প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের সদস্যরা মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতে তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে সততা আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
এসময় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক ড. আবুল কালাম আজাদ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মোশাররফ হোসেন, মোছা: নুরজাহান খাতুন, মো. রাশেদুল ইসলাম, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক ইমামুল ইসলাম, ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক মির্জা হাসান খসরু, সহকারী পরিচালক শিক্ষা অফিসার নুরুল ইসলাম, ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল আজিজ, শিক্ষা অফিসার রোখসানা হায়দার, গাজীপুর পিটিআই সুপারিনটেনডেন্ট মোসফেকা বিনতে সুলতান, এক্রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহসুমা খানমসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত,গত ১৩ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা-২০২৩ গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।