গণহত্যা দিবস এবং মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে ২৫ মার্চ দিনব্যাপী নানা আয়োজনে ‘গণহত্যা দিবস’ ও ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে নেয়ার কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়।
গণহত্যা দিবসের কর্মসূচি :
১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ মার্চ কালরাত্রি স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির যৌথ উদ্যোগে আগামী ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ পালন করা হবে।
এ উপলক্ষ্যে আগামী ২৫ মার্চ সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতি চিরন্তন চতুরে মোমবাতি প্রজ্বলন করা হবে। পরে ডকুমেন্টারি প্রদর্শন এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন। অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
এছাড়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বক্তব্য রাখবেন। রাত ১০ টা ৩০ মিনিট থেকে ১০ টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত ১ মিনিটের জন্য জরুরি স্থাপনা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সব জায়গায় ‘ব্লাক-আউট’ কর্মসূচি পালন করা হবে।
দিবসটি উপলক্ষে বাদ জোহর মসজিদুল জামিয়াসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকার মসজিদগুলোতে এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে শহীদদের রুহের মাগফেরাত ও শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হবে।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের কর্মসূচি:
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আগামী ২৬ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ২৬ মার্চ সকাল ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কেন্দ্রীয় ভবন ও আবাসিক হলে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৬টায় স্মৃতি চিরন্তন চতুরে জমায়েত এবং সকাল ৬টা ১৫মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধের উদ্দেশে যাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ।
দিবসটি উপলক্ষ্যে বাদ জোহর মসজিদুল জামিয়ায় বিশেষ মোনাজাত এবং বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে শহীদদের রুহের মাগফেরাত ও শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হবে। এছাড়া, কার্জন হল ও টিএসসিতে আলোকসজ্জা করা হবে এবং শিশুদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হবে।