গতবছর প্রাথমিকে এ বছর ইবতেদায়িতে পরীক্ষার্থী: সাংবাদিকের প্রভাব!

নলছিটি (ঝালকাঠী) প্রতিনিধি |

ঝালকাঠির নলছিটিতে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে এক শিশু শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক বের করে দেয়ার মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে একজন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। একজন সাংবাদিকের আত্মীয়কে পরীক্ষা দিতে না দিয়ে বের করে দেয়ার মিথ্যা অভিযোগ আনা হলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন গত বছর সাধারণ স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেয় শিশুটি। এবছর ইবতেদায়ি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছিলো। পরীক্ষার দায়িত্বরতরা বিষয়টি জানতে পেরে ওই শিক্ষার্থীকে প্রশ্ন করলে সে নিজেই খাতা ও প্রবেশপত্র ফেলে কেন্দ্র ছেড়ে চলে যায়। তবে, সাংবাদিক পরিচয়ে অভিযোগ এনে বলা হচ্ছে, ‘কেন্দ্রসচিব শিশুটিকে বের করে দিয়েছে’। যা অসত্য বলে দৈনিক শিক্ষার অনুসন্ধানে জানা গেছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, একটি জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিক পরিচয়ে কেন্দ্র সচিবের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে।   

ওই পরীক্ষার্থীর নাম মো. রাব্বী হোসেন। সে নলছিটি উপজেলার বৈশাখীয়া গ্রামের বৈশাখীয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার ছাত্র। সে গতবছর প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এ বছর ইবতেদায়ি সমাপনীতে অংশ নিচ্ছিল সে। 

বৈশাখীয়া ইবতেদায়ি মাদরাসার সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, গত বৃহস্পতিবার গোহাইলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষার ৫ম দিনে আরবী পরীক্ষা দিতে যায় রাব্বী। পরীক্ষা শুরু হওয়ার প্রায় একঘণ্টা পর ওই কেন্দ্রের সচিব গোহাইলবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক প্রক্সি পরীক্ষা দেয়ার অভিযোগ তোলেন মো. রাব্বীর বিরুদ্ধে। এক পর্যায় রাব্বী  কেন্দ্র থেকে বের হয়ে যায়। 

কেন্দ্র সচিব আব্দুল মালেক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, কেউ প্রক্সি পরীক্ষা দিচ্ছে কিনা এ বিষয়ে সতর্ক করলে ওই ছাত্র কাউকে কিছু না বলে অ্যাডমিট কার্ড এবং খাতা রেখে চলে যায়। 

অভিযোগ রয়েছে,  মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রভাবশালী এ প্রধান শিক্ষক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের নাম কাটিয়ে নিজে সমাপনী পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব হয়েছেন। তবে, কেন্দ্র সচিব আব্দুল মালেক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, গোহাইলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ভাগ্নে সমাপনী পরীক্ষা দিচ্ছে। তাই টিএনও সাহেব আমাকে কেন্দ্র সচিব বানিয়েছেন।

নলছিটি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন,  জোর করে পরীক্ষার্থী বের করে করে দেয়ার ব্যাপারে আমার কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা - dainik shiksha মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা - dainik shiksha দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0072710514068604