নড়াইলে সংখ্যালঘু পরিবারের এক কলেজছাত্রীর সঙ্গে একাধিকবার ধর্ষণের ঘটনা ঘটায় মাকতুল মোল্যা নামক এক বখাটে। এতে ওই কলেজছাত্রী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। সেটা জেনে ওই বখাটে জোর করে তাকে গর্ভপাত করায়। গর্ভপাত ঘটাতে গিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে ওই ছাত্রী। বখাটে ধর্ষক মাকতুল মোল্যা নড়াইল পৌর এলাকার ডুমুরতলা গ্রামের মুফা মোল্যার ছেলে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বখাটে মাকতুল ওই কলেজছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হয়। তারপরও মাকতুল নানাভাবে ওই কলেজছাত্রীকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে। কিন্তু ব্যর্থ হয়।
একপর্যায়ে মাকতুল মোল্যা উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে। এতে ওই কলেজছাত্রী বিরক্ত হয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়া বন্ধ করে দেয়। বাবা না থাকায় বখাটে মাকতুলের ভয়ে ওই কলেজছাত্রী বিষয়টি গোপন রাখে। এরই মধ্যে মাকতুল সুযোগ বুঝে ওই কলেজছাত্রীকে একা পেয়ে জিম্মি করে তার বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের দৃশ্য মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করে রাখে। ধারণকৃত ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ওই কলেজছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এরই মধ্যে সে গর্ভবতী হয়ে পড়ে।
অভিযুক্ত মাকতুল যখন জানতে পারে যে, কলেজছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে, গর্ভপাতের জন্য চাপ দিতে থাকে। কলেজছাত্রী রাজি না হলে নানা ছলচাতুরীর কথা বলে গত ২৭শে জুন মেয়েটিকে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের নার্স রূপাবতী ওই কলেজছাত্রীর আড়াই মাসের গর্ভজাত সন্তানকে গর্ভপাত করান। গর্ভপাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। লোক জানাজানির ভয়ে ও উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মারাত্মক অসুস্থ ওই কলেজছাত্রী বর্তমান খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে।
এদিকে, বখাটে মাকতুলের নিকট থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে একটি সন্ত্রাসী চক্র এ বিষয়ে নীরব থাকার জন্য কলেজছাত্রীর মাকে চাপ দিচ্ছে। এ বিষয়ে মুখ না খোলার জন্য তার পরিবারকে হুমকিও দিচ্ছে। একদিকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি, অপরদিকে সন্ত্রাসীদের হুমকিতে তার মা দিশাহারা হয়ে পড়েছেন।