গাঁজা সেবনের অনুমতি চেয়ে জাবি ছাত্রের লিখিত আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক |

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের এক ছাত্র ওই বিভাগের সভাপতি বরাবর গাজা সেবনের অনুমতি চেয়ে লিখিত আবেদন করেছেন।

সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. আব্দুল মান্নান চৌধুরী গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ফাইল ছবি

লিখিত আবেদনপত্রে সে উল্লেখ করেছে- গাঁজা খুব ভালো জিনিস, তাই তাকে গাঁজা খাওয়ার অনুমতি দেয়া হোক।

কিশোর কুমার বিভাগের ৪১তম ব্যাচের ছাত্র হলেও রিপিটার হয়ে ৪৩ ব্যাচের সঙ্গে ক্লাস করছেন। তিনি মওলানা ভাসানী হলের আবাসিক ছাত্র। তবে বর্তমান তিনি ক্যাম্পাসের বাইরে থাকেন।

জানা যায়, বিভাগে গাঁজাসহ একবার ধরা পড়েছিলেন ওই ছাত্র। সেবার তাকে সতর্ক করা হয়। এবার তিনি বিভাগের সভাপতির কাছে গাঁজা খাওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন।

এ বিষয়ে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. আব্দুল মান্নান চৌধুরী বলেন, কিশোর কুমার দাস আমার কাছে গাঁজা সেবনের অনুমতি চেয়ে লিখিত অনুমতি চেয়েছে। তবে আমি তার আবেদনটি প্রোক্টরের বরাবর হস্তান্তর করেছি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টর সহযোগী অধ্যাপক সিকাদার মো. জুলকারনাইন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে পরীক্ষার হলে তাকে গাঁজা সেবনরত অবস্থায় পাওয়া যায়। তখন তাকে প্রোক্টর অফিসে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।'

প্রোক্টর বলেন, 'সে আমাদের বলেছে, ‘গাঁজা অনেক উপকারী। গাঁজা খেলে আমার পরীক্ষা ভালো হয়। তাছাড়া গাঁজা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। তাই আমাকে হয় গাঁজা খাওয়ার অনুমতি দিন, না হয় আমাকে শাস্তি দিন।’

প্রোক্টর আরও বলেন, এরপর আমরা তাকে ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ বলে ধারণা করি। তাকে রিহাবে নেয়ার প্রস্তাব দিলে সে আমাদের ওপর আচমকা রেগে যায়। এজন্য প্রশাসনিক নিয়ম অনুযায়ী তার পুনর্বাসনের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তরের চিন্তা করছি।’

এদিকে সোমবার ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী। বিভাগের সভাপতির কাছে তিনি লিখিত অভিযোগ দেন। পরে অভিযোগপত্রটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়নবিরোধী সেলে পাঠানো হয়েছে।

অভিযোগপত্রে ওই ছাত্রী উল্লেখ করেন, ‘কিশোর কুমার দাস রোববার দুপুরে বিভাগের ছাদে আমাকে যৌন হয়রানিমূলক অশালীন কথাবার্তা বলে। এই ঘটনায় প্রতিবাদ করলে আমাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপিড়নবিরোধী সেলের পরিচালক অধ্যাপক রাশেদা আখতার গণমাধ্যমকে বলেন, ওই ছাত্র মাদকাসক্ত। তার কথাবার্তা অসংলগ্ন। আমরা তাকে পুলিশে দেয়ার চিন্তা করছি।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0025157928466797