গুচ্ছ থেকে বের হওয়ার ঘোষণা বশেমুরবিপ্রবির

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি |

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পর গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রম থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি)। বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এর আগে, এদিন সমন্বিত গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে যায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৫তম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। একইসঙ্গে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে নিজস্ব ব্যবস্থায়পনায় ভর্তি পরীক্ষার  জন্য কেন্দ্রীয় কমিটিসহ তিনটি ইউনিট কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ায় থাকা না থাকা নিয়ে শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে একটি জরিপ পরিচালনা করা হয়। জরিপে প্রায় শতভাগ শিক্ষক গুচ্ছ পদ্ধতিতে বশেমুরবিপ্রবির ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য উপযোগী নয় বলে মতামত দেন। 

একইসঙ্গে ৯৭.৩ শতাংশ শিক্ষক পূর্বের নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনার পক্ষে মতামত দেন। এছাড়া ৩ শতাংশ শিক্ষক ব্যাপক পরিবর্তন সাপেক্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে অংশগ্রহণ করা যেতে পারে বলে মতামত দিয়েছেন।

জরিপে অংশগ্রহণকারী শিক্ষকদের মধ্যে ৮১ শতাংশ ভর্তিতে সমন্বয়হীনতা ও দীর্ঘসূত্রিতা এবং শিক্ষার্থীদের আর্থিক ও আনুষঙ্গিক ভোগান্তিকে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি কার্যক্রম অংশগ্রহণ করতে না চাওয়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

এ ছাড়া, ৬৩ শতাংশ একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসরণে অসুবিধা, ৫৬ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সমন্বয়হীনতা, ৫৩ শতাংশ সুনির্দিষ্ট নীতিমালার অভাব এবং ৫১ শতাংশ আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাবকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাডেমিক কাউন্সিলের এক সদস্য বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতির কারণে আমাদের ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। আগে যেখানে ৩ মাসে ভর্তি কার্যক্রম শেষ হতো, এখন সেখানে নয় মাসেও ভর্তি কার্যক্রম শেষ করা যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতির কার্যক্রমের ফলে আমরা সঠিকভাবে একাডেমিক ক্যালেন্ডার ফলো করতে পারছি না। তাই আমরা সর্বসম্মতিক্রমেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, চলতি শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রমে অংশ নেব না। পরবর্তী সভায়  বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ভর্তি কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনা হবে।

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যঅপক ড. এ.কিউ.এম মাহাবুবের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার থেকে এ বিষয়ে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
চলতি মাসে টানা ৪ দিনের ছুটি মিলবে যেভাবে - dainik shiksha চলতি মাসে টানা ৪ দিনের ছুটি মিলবে যেভাবে সিইসিসহ পাঁচ কমিশনারের পদত্যাগ - dainik shiksha সিইসিসহ পাঁচ কমিশনারের পদত্যাগ রাষ্ট্রপতি যেকোনো সময় পদত্যাগ করতে পারেন - dainik shiksha রাষ্ট্রপতি যেকোনো সময় পদত্যাগ করতে পারেন বাতিল কারিকুলামে শিক্ষার্থীরা আরও একবছর ভুগবেন কেন? - dainik shiksha বাতিল কারিকুলামে শিক্ষার্থীরা আরও একবছর ভুগবেন কেন? ডিআইএতে টাকার খেলা, অভিযুক্তরাই স্কুল অডিটে - dainik shiksha ডিআইএতে টাকার খেলা, অভিযুক্তরাই স্কুল অডিটে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই নতুন অ্যাডহক কমিটি হবে - dainik shiksha সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই নতুন অ্যাডহক কমিটি হবে প্রাথমিকে স্বতন্ত্র ক্যাডার সার্ভিস চালুর দাবি - dainik shiksha প্রাথমিকে স্বতন্ত্র ক্যাডার সার্ভিস চালুর দাবি দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.003046989440918