গোপালগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আক্কাস আলীর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি |

যৌন নিপীড়নের অভিযোগে বাধ্যতামূলক ছুটিতে থাকা গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক আক্কাস আলীকে নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের সুষ্ঠু তদন্তে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. নূরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ আদেশ দেওয়া হয়। চিঠিতে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে লিখিত প্রতিবেদন ও সুপারিশ দাখিল করতে বলা হয়েছে। গত ১৬ অক্টোবর আক্কাস আলীকে নিয়ে একটি দৈনিকে 'ঘরে বসেই বেতন নেন শিক্ষক আক্কাস' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।

শিক্ষার্থীরা জানান, চলতি বছরের এপ্রিল মাসের প্রথমদিকে আক্কাস আলীর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে। পরে এটি ভাইরাল হয়। এ ছাড়া যৌন নিপীড়নের একটি অভিযোগপত্র প্রকাশ পায়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে প্রশাসন আক্কাস আলীকে বিভাগীয় চেয়ারম্যানের পদ থেকে আজীবনের জন্য অব্যাহতি দেয়। এ ছাড়া আগামী ৪ বছর তাকে বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়া হয়। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার মাসিক বেতনের ৫৯ হাজার ৭৭৯ টাকা তাকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ এবং ওই শিক্ষককে স্থায়ী চাকরিচ্যুতির দাবিতে শিক্ষার্থীরা টানা দেড় মাস অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

এদিকে গত ১৯ সেপ্টেম্বর দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ভিসি ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগ দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন। এ পরিস্থিতিতে গত ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি পদত্যাগ করেন। পরে আক্কাস আলীর বিষয়টি নতুন করে সামনে আসে। এরই ধারাবাহিকতায় আক্কাস আলীর বেতন-ভাতা বন্ধসহ তাকে চাকরিচ্যুত করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহজাহান বলেন, ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর আক্কাস আলীর ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বসে সিদ্ধান্ত নেবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
সফটওয়্যারে কারিগরি ত্রুটি/ ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের তথ্য ইমেইলে আহ্বান - dainik shiksha সফটওয়্যারে কারিগরি ত্রুটি/ ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের তথ্য ইমেইলে আহ্বান শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বৈত নীতি! - dainik shiksha শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বৈত নীতি! হিটস্ট্রোকে শিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে শিক্ষকের মৃত্যু লিখিততে প্রক্সি দিয়ে পার, মৌখিক পরীক্ষায় এসে ধরা - dainik shiksha লিখিততে প্রক্সি দিয়ে পার, মৌখিক পরীক্ষায় এসে ধরা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে - dainik shiksha এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে শিক্ষক কেনো বদলি চান - dainik shiksha শিক্ষক কেনো বদলি চান ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা হতে পারে জুলাইয়ে - dainik shiksha ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা হতে পারে জুলাইয়ে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0056018829345703