গ্রহণযোগ্য রেজাল্ট দিতে পেরেছি: তপন সরকার

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. তপন কুমার সরকার বলেছেন, সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের কারণে এবছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলে জিপিএ-৫ এর সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু পাসের হার কমেছে। এরপরও একটা গ্রহণযোগ্য রেজাল্ট দিতে পেরেছি।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ড. তপন কুমার বলেন, সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের কিছুটা প্রভাব শিক্ষার্থীদের মধ্যে থাকবেই। তবে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সমস্যা হবে না। কারণ যেখানেই তারা ভর্তি হতে যাক না কেনো এডমিশন টেস্টের মধ্য দিয়ে তাদের ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।  আর এ বিষয়ে লেখাপড়ারও প্রস্তুতি থাকে। ইন্টারন্যাশনালি এই সাবজেক্ট ম্যাপিং বিষয়টি রয়েছে।

তিনি বলেন, বাতিল হওয়া বিষয়গুলোর পরীক্ষা দেয়ার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পরিপূর্ণ প্রস্তুতি ছিলো। অভিভাবক-শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের কাছে অনুরোধ রইলো ভবিষ্যতে যেনো এ ধরনের ঘটনা না ঘটে। পরীক্ষাগুলো দেয়া উচিত। পরীক্ষার মাধ্যমেই ফলাফল আসে। আমরা কতটুকু শিখলাম তার জাস্টিফিকেশন পরীক্ষার মাধ্যমেই হয়। পরীক্ষা নেয়া আমাদের কর্তব্য। আশা করবো আগামীতে পরীক্ষাগুলো যাতে হয় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখবো। সকলের সহযোগিতা কামনা করবো।

তিনি বলেন, আমরা ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দে যে পরীক্ষাগুলো নেবো, তা সুষ্ঠুভাবে নিতে পারবো বলে আশা করছি। কোনো শিক্ষার্থী যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেভাবে চেষ্টা করতে হবে। একটা বিপর্যয়ের মধ্য দিয়েই যাচ্ছিলাম। এ কারণে এবার পরিস্থিতির শিকার হয়েছি। 

শূন্য পাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিষয়ে তিনি বলেন, বিগত সময়ে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করে তাদের মানোন্নয়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। যেসব প্রতিষ্ঠানের মানোন্নয়ন করতে পারেনি সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদানের অনুমতি বাতিল করে দেয়া হয়। গত বছরও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের ৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এটা দিন দিন বাড়ছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ননএমপিওভুক্ত।

তপন কুমার সরকার বলেন, আমাদের বোর্ড, প্রশাসন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় সবাই এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেয়ার চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েছিলো। সার্বিক দিক দিয়ে পর্যালোচনা করে একটা বিকল্প পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থাও ছিলো। বিষয়ের ওপর অর্ধেক নম্বরের পরীক্ষা নেয়ার বিষয়েও প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম। বিভিন্ন কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ পরীক্ষাগুলো বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দেয়ার প্রস্তুতি ছিলো। তাদের লার্নিং স্কিল ডেভলেপমেন্ট করেছিলো। তারা শুধু পরীক্ষা দিতে পারেননি। কিন্তু তাদের প্রস্তুতি ছিলো। আমরা কয়েকবার এই পরীক্ষা পিছিয়ে পিছিয়ে একসময় তা বাতিল করে দিয়েছি। তার মানে তাদের লার্নিং গ্যাপ নেই। আমরা ৬টা পরীক্ষা নিতে পারিনি। এবারে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল হয়েছে। এরমধ্যে যখন আমাদের শিক্ষার্থীরা একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট পাবে তখন কিন্তু এই রেজাল্ট ম্যাপিংটা নিয়ে কোনো কথা থাকবে না। 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
এইচএসসি ও সমমানে গড় পাস ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ - dainik shiksha এইচএসসি ও সমমানে গড় পাস ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জিপিএ-৫ এইচএসসি ও সমমানে - dainik shiksha ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জিপিএ-৫ এইচএসসি ও সমমানে কাদির মোল্লা কলেজের জিপিএ ফাইভ ব্যবসা - dainik shiksha কাদির মোল্লা কলেজের জিপিএ ফাইভ ব্যবসা ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ২১ শতাংশ - dainik shiksha ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ২১ শতাংশ আলিমে ৯ হাজার ৬১৩ জিপিএ-৫ - dainik shiksha আলিমে ৯ হাজার ৬১৩ জিপিএ-৫ এইচএসসিতে এ বছরও এগিয়ে মেয়েরা - dainik shiksha এইচএসসিতে এ বছরও এগিয়ে মেয়েরা এইচএসসিতে এবার জিপিএ-৫ বেড়েছে ৫৩ হাজার ৩১৬ - dainik shiksha এইচএসসিতে এবার জিপিএ-৫ বেড়েছে ৫৩ হাজার ৩১৬ ৬৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেননি - dainik shiksha ৬৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেননি শতভাগ পাস ১৩ হাজার ৮৮ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে - dainik shiksha শতভাগ পাস ১৩ হাজার ৮৮ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0022599697113037