গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের কর্তৃত্ব বজায় রাখতে অর্থ ছাড়

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

গ্রামীণ ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধনে সরকারের আনুপাতিক মালিকানা ২৫ শতাংশ ধরে রাখতে বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ছাড় করেছে অর্থ বিভাগ। চলতি বাজেটে ব্যাংকগুলোর পুনঃপুঁজিকরণ খাতের জন্য রক্ষিত দেড় হাজার কোটি টাকা থেকে এ অর্থ ছাড় করা হয়েছে। অর্থ বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন জানান, গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারি অংশীদারিত্ব ২৫ শতাংশ বজায় রাখতে এর আগে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর শেষে ৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ছাড় করেছে । তিনি আরও বলেন, প্রায় নয় বছর আগে গ্রামীণ ব্যাংক কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী অর্থবিভাগ প্রাতিষ্ঠানিক শক্তি, দুর্বলতা এবং সীমাবদ্ধতাগুলো চিহ্নিত করে। কমিশনের আরও সুপারিশ ছিল, সরকারের অংশীদারিত্ব ৫১ শতাংশ করার এবং ব্যাংকটিকে একাধিক সংস্থায় বিভিক্ত করার। তখন ৫০ শতাংশ না করে ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে সরকারের অংশীদারিত্ব ৩ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছিল। 

সূত্র জানায়, চলতি বাজেটে ব্যাংকগুলোয় পুনঃপুঁজিকরণের জন্য ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা তহবিল রাখা হয়েছে। কিছু তহবিল ব্যাংকগুলো মূলধন বাড়ানোয় ব্যবহার করা হবে। বিশেষ করে প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক, গ্রামীণ ব্যাংক এবং অন্যান্য বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোতে এ টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। এই অর্থ থেকেই গ্রামীণ ব্যাংকে ৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে।

২০১১ খ্রিষ্টাব্দের ১০ মে পর্যন্ত গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) পদে দায়িত্ব পালন করেন গ্রামীণ ব্যাংকের সাথে যৌথভাবে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এমডির বয়সসীমা অতিক্রান্ত হওয়ায় ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের ১১ মে সরে যান তিনি।  গত বছর নভেম্বর গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. সাইফুল মজিদ গণমাধ্যমকে জানান, ব্যাংকের ২৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক সরকার এবং বাকি ৭৫ শতাংশ শেয়ার সদস্যদের। ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে ব্যাংকটি সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ সূচকে অগ্রগতির সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্যসংখ্যা এক কোটির মাইলফলক অতিক্রম করেছে। বিশ্বের অন্য কোনো ক্ষুদ্রঋণ সংস্থার এত সদস্য নেই। গ্রামীণ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটির মোট আমানত দাঁড়ায় ২৩ হাজার ৩৪৮ কোটি টাকায়। ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে মহামারির সময় ব্যাংকটি ৪৮১ কোটি টাকা মুনাফা করে।

ড. ইউনূসের ‘গ্রামীণ নারী আর্থিক জীবনের উন্নয়ন’ প্রকল্পটিকে ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বরে সরকার গ্রামীণ ব্যাংক নামে একটি বিশেষ প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করার সিদ্ধান্ত নেয়। অনুমোদিত মূলধন ১০ কোটি টাকা। প্রতিটি ১০০ টাকার সাধারণ শেয়ারে বিভক্ত। ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ছিল ৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৪০ শতাংশ ঋণগ্রহীতারা এবং বাকিটা সরকার ও সরকারি মালিকানাধীন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো কিনে নিয়েছিল।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষক লাঞ্ছিত ও পদত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদ, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি বিটিএর - dainik shiksha শিক্ষক লাঞ্ছিত ও পদত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদ, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি বিটিএর মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি - dainik shiksha মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি আন্দোলনে অসুস্থ ১১ নার্সিং শিক্ষার্থী - dainik shiksha আন্দোলনে অসুস্থ ১১ নার্সিং শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই - dainik shiksha প্রধান শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই জলবায়ু পরিবর্তন মারাত্মক প্রভাব ফেলছে শিক্ষা খাতে - dainik shiksha জলবায়ু পরিবর্তন মারাত্মক প্রভাব ফেলছে শিক্ষা খাতে বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে চাকরি প্রত্যাশীদের মহাসমাবেশ - dainik shiksha বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে চাকরি প্রত্যাশীদের মহাসমাবেশ এমপিওভুক্তি: দীপু মনির ভাই টিপুচক্রের শতকোটি টাকার বাণিজ্য - dainik shiksha এমপিওভুক্তি: দীপু মনির ভাই টিপুচক্রের শতকোটি টাকার বাণিজ্য অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য, আওয়ামী লীগ নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা - dainik shiksha অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য, আওয়ামী লীগ নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা ভুয়া নিয়োগে এমপিও: এক মাদরাসার ১৫ শিক্ষকের সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর - dainik shiksha ভুয়া নিয়োগে এমপিও: এক মাদরাসার ১৫ শিক্ষকের সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর বার্ষিক পরীক্ষার উদ্দীপকসহ ও উদ্দীপক ছাড়া প্রশ্ন - dainik shiksha বার্ষিক পরীক্ষার উদ্দীপকসহ ও উদ্দীপক ছাড়া প্রশ্ন একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তুলতেন মাদরাসা কর্মচারী - dainik shiksha একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তুলতেন মাদরাসা কর্মচারী কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0029089450836182