জ্ঞানার্জনের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়। এদেশে লাখ লাখ শিক্ষার্থী নিজেদের মধ্যে মেধার ভিত্তিতে প্রতিযোগিতা করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নিশ্চিত করতে চায় একটি আসন। বুধবার (১৫ মে) দৈনিক যুগান্তরের প্রকাশিত নিবন্ধে এতথ্য জানা যায়। নিবন্ধনটি লিখেছেন আবদুজ জাহের নিশাদ।
একটু লক্ষ করলে দেখা যাবে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী গ্রামাঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আসা। গ্রামাঞ্চল থেকে উঠে আসা কোমলমতি শিক্ষার্থীরাই জাতির কর্ণধার।
অধঃপতিত জাতিকে আলোর দিশা দেয়ার একমাত্র সন্তান তারাই। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, গ্রামাঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় বিরাজ করে নানা দুর্দশা, অচলাবস্থা আর ভুল পদ্ধতিতে পাঠদান।
শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস ও লাইব্রেরি সুবিধা থেকে। ফলে আশানুরূপ হচ্ছে না তাদের পরীক্ষার ফলাফল। এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিরাজ করছে হতাশা।
বিশ্বায়নের সঙ্গে তালমিলিয়ে দেশীয় শিক্ষার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক বিগত বছরে শিক্ষার অবকাঠামো পরিবর্তন, নতুন পাঠ্যবই ও সিলেবাস সংযুক্তকরণ সত্ত্বেও উপযুক্ত পাঠদান পদ্ধতির অভাবে আধুনিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা। এ অবস্থার অবসানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
