স্কুলের কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে সমস্যা নিরসনে এক পক্ষের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে একপেশে তদন্ত করার অভিযোগ উঠেছে কুড়িগ্রাম সদরের উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জহুরুল হকের বিরুদ্ধে। একটি স্কুলে কর্মচারী নিয়োগে সভাপতির বিরুদ্ধে ৬ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি। কর্মচারী পদে নিয়োগ প্রার্থীর অভিযোগ, অভিযুক্ত সভাপতির কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা পক্ষপাতমূলক তদন্ত করেছেন।
এর প্রতিবাদে সোমবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে ভুক্তভোগীরা মানববন্ধন করে। এসময় বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের জমিদাতা সদস্য দছিম উদ্দিন, ভুক্তভোগী প্রার্থী কাকলী বেগমসহ অনেকে।
মানববন্ধনে তদন্ত প্রতিবেদন বাতিল করে আবারও প্রতিবেদন দেয়ার দাবি জানিয়েছেন। একইসাথে শিক্ষা কর্মকর্তা জহুরুল হকের বিচার ও অপসারণ দাবি করেছে।
তবে, অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা দাবি করে সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জহুরুল হক মুঠোফোনে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, দুই পক্ষের কাগজপত্রের সত্যতা দেখে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। ঘুষ নেয়ার বিষয়টি মিথ্যা।
অভিযোগে জানা যায়, সদর উপজেলার হলোখানা নুরনবী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেন কাকলী বেগম। গত ১ নভেম্বর নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে কর্তৃপক্ষ।
ভুক্তভোগী প্রার্থী কাকলী বেগম ও দাতা সদস্য দছিম উদ্দিন অভিযোগ করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি আমাদের কাছ থেকে নিয়োগের কথা বলে বিভিন্ন সময়ে ৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও শিক্ষা বিভাগে আমরা অভিযোগ করি। সেই প্রেক্ষিতে তদন্তের দায়িত্ব পান কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জহুরুল হক। তিনি স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. নুরনবীর কাছে ৫০ হাজার টাকা উৎকোচ নিয়ে একপেশে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।