চট্টগ্রাম কাস্টমসের সিপাহি পদে নিয়োগ পরীক্ষায় বড় ধরনের জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। এক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষায় জালিয়াতি করে পাস করে মৌখিক পরীক্ষা দিতে আসা ২৩ জনকে আটক করে পাহাড়তলী থানায় হস্তান্তর করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
গত মঙ্গলবার ও বুধবার পৃথকভাবে এই ২৩ জনকে আটক করা হয়। পরে তাদেরকে পাহাড়তলী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ চৌধুরী বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে পাহাড়তলী থানায় দুটি পৃথক মামলাও দায়ের করেছেন।
আটক পরীক্ষার্থীরা হলেন মো. এনামুল হক (রোল-১২৭৫২), মো. শহীদুল ইসলাম (রোল-১০৮৩২), মো. আবুল বাশার (রোল-১১০৯৯), মো. ইলিয়াছ (রোল-১৯৭৬০), কাজী দেলোয়ার হোসেন (রোল-১৯৯৮৯), মো. মহিউদ্দিন (রোল-১০২০৬), মো. রফিকুল ইসলাম (রোল-১৩৭৬২), মো. আব্দুর রশিদ (রোল-১৫০১১), সবুজ চন্দ্র (রোল-১৩০৭৬), জয় চন্দ্র দে (রোল-১১২৩৪), আবুল মিয়া (রোল-১২৪১৬), মো. মোবারক হোসেন (রোল-১২৫৬৬), মো. আক্তারুজ্জামান (রোল-১৭০৭৭), মো. খলিলুর রহমান (রোল-১৪১৭২), মো. আরিফুর রহমান (১৫১৫৩), মো. সুজন সরকার (রোল-১৬৪৮৯), নিতোষ চাকমা (রোল-১৭০৭৪), মো. সোহেল রানা (রোল-১৯৯১৭)। কাস্টম সূত্রে জানা গেছে, সিপাহি পদে নিয়োগ দেয়া হবে ৯৮ জনকে। এর বিপরীতে ৩ হাজার ৩৪৪ জন প্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে গত ২২শে ডিসেম্বর লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৩৫০ জন প্রার্থী গত সোমবার, মঙ্গলবার ও বুধবার মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেয়।
লিখিত পরীক্ষায় জালিয়াতির বিষয় মৌখিক পরীক্ষার সময় ধরা পড়ায় এই ২৩ জনকে আটক করা হয়। জানা যায়, ২০১৪ ও ২০১৭ সালে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও নানা জটিলতায় পরীক্ষাটি নেয়নি কাস্টমস।
প্রায় আট বছর পর পরীক্ষা হওয়ায় চাকরির প্রার্থীদের আবেদনের ছবির সঙ্গে বর্তমান চেহারার অনেক পরিবর্তন এসেছে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একটি চক্র মূল প্রার্থীর বদলে অন্যজনকে দিয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিয়েছেন।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের যুগ্ম কমিশনার তারেক হাসান বলেন, চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে সিপাহি পদে লিখিত পরীক্ষার জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়ায় মৌখিক পরীক্ষা দিতে আসা ২৩ জনকে আটক করে আমরা পাহাড়তলী থানায় হস্তান্তর করেছি। নিয়োগ কমিটি জড়িতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ চায় নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আসুক। কোনো অনিয়মকে প্রশ্রয় দেয়ার সুযোগ নেই।