চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের ছয় মাসের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। ফলে বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ (পিডিবি) চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের (চমেক) বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। এতে ক্লাস-পরীক্ষাসহ নানা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
একইসঙ্গে সেখানকার ভেনম রিসার্চ সেন্টারে থাকা প্রায় ৩৫০টি সাপ মারা যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সংরক্ষিত সাপের বিষও নষ্ট হতে পারে।
সোমবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করে পিডিবি স্টেডিয়াম।
পিডিবি স্টেডিয়ামের নির্বাহী প্রকৌশলী কেনোয়ার হোসেন বলেন, প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা বিল বকেয়া রয়েছে। বারবার নোটিশ দেয়া হয়েছে। কাজ না হওয়ায় সোমবার সকালে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
পিডিবি সূত্রে ও সরেজমিন দেখা যায়, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের প্রশাসনিক ভবন, দুটি হোস্টেল, ভেনম রিসার্চ সেন্টার, ফরেনসিক ভবনে বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে। ফলে ক্লাস, পরীক্ষা, গবেষণা ব্যাহত হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে সেখানকার ভেনম রিসার্চ সেন্টার। সেখানে সাপে কাটার প্রতিষেধক তৈরির জন্য গবেষণা করা হয়। গবেষণার জন্য এখানে প্রায় ৩৫০টি সাপ আছে। এসব সাপকে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় রাখতে হয়। এ ছাড়া গবেষণাগারের ফ্রিজে রাখা আছে সাপের বিষ। এখন বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় গবেষণাগারের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। শঙ্কা দেখা দিয়েছে সাপগুলো নিয়ে।
এ বিষয়ে ভেনম রিসার্চ সেন্টারের গবেষণা সহযোগী মিজানুর রহমান বলেন, আমরা জেনারেটরের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি। কারণ, তাপমাত্রার হেরফের হয়ে সাপ মারা যেতে পারে। ফ্রিজে থাকা সাপের বিষ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের বিষয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেন আক্তার বলেন, বরাদ্দ না পেলে আমরা কীভাবে বিল পরিশোধ করবো? বরাদ্দের জন্য বারবার মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে লিখেছি। টাকা পেলেই বকেয়া বিল পরিশোধ করা হবে।