চবিতে বিজ্ঞাপিত পদের বাইরে দুই শিক্ষককে নিয়োগ

চবি প্রতিনিধি |

বিজ্ঞাপিত পদের বাইরে অতিরিক্ত নিয়োগ দেওয়া নিয়ে সমালোচনার মধ্যেই আবার অতিরিক্ত দুজন শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৪০তম সিন্ডিকেট সভায় এ নিয়োগ দেওয়া হয়। গতকাল মঙ্গলবার তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, গত বছরের এপ্রিলে মৃত্তিকাবিজ্ঞান বিভাগে দুটি প্রভাষক পদের বিপরীতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয় কর্তৃপক্ষ। তবে সিন্ডিকেট সভায় নিয়োগ দেওয়া হয় চারজনকে। নিয়োগ পাওয়া এ চার শিক্ষক হলেন সাবরিনা জামান, নাসরিন আকতার, মুমতাহিনা জুঁই ও নিপা দাশ। তাঁদের মধ্যে কে বিজ্ঞাপিত পদের ভেতরে আর কে বাইরে, তা জানায়নি কর্তৃপক্ষ। বিভাগও এ ব্যাপারে কোনো কথা বলছে না।

এর আগে সিন্ডিকেটের ৫৩৯ সভায় শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে চাহিদা বিবেচনা করে বিজ্ঞাপিত পদের চেয়ে কম বা বেশি নিয়োগ দেওয়া যাবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিন্ডিকেটের এ সিদ্ধান্ত নিয়ে নানা সমালোচনা হয়েছে। এ নিয়ে একটি দৈনিকে গত শনিবার ‘ইচ্ছেমতো নিয়োগে আগেভাগেই বৈধতা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

সমালোচনার মধ্যে অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সিন্ডিকেট সভাপতি শিরীণ আখতারের কার্যালয়ে গেলে তিনি সাক্ষাৎ করেননি। এরপর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

বিজ্ঞপ্তির পদের বাইরে নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করেছিলেন কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে মৃত্তিকাবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি সাবরিনা শারমীন আলম  বলেন, তিনি একা সিদ্ধান্ত নেননি। উপাচার্যসহ বোর্ডের সবাই মিলে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়াকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ‘স্বেচ্ছাচারিতা’ বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ও আইন বিভাগের অধ্যাপক জাকির হোসেন। তিনি বলেন, বিজ্ঞাপিত পদের বাইরে অতিরিক্ত নিয়োগ দেওয়া সম্পূর্ণভাবে অবৈধ।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
চলতি মাসে টানা ৪ দিনের ছুটি মিলবে যেভাবে - dainik shiksha চলতি মাসে টানা ৪ দিনের ছুটি মিলবে যেভাবে সিইসিসহ পাঁচ কমিশনারের পদত্যাগ - dainik shiksha সিইসিসহ পাঁচ কমিশনারের পদত্যাগ রাষ্ট্রপতি যেকোনো সময় পদত্যাগ করতে পারেন - dainik shiksha রাষ্ট্রপতি যেকোনো সময় পদত্যাগ করতে পারেন বাতিল কারিকুলামে শিক্ষার্থীরা আরও একবছর ভুগবেন কেন? - dainik shiksha বাতিল কারিকুলামে শিক্ষার্থীরা আরও একবছর ভুগবেন কেন? ডিআইএতে টাকার খেলা, অভিযুক্তরাই স্কুল অডিটে - dainik shiksha ডিআইএতে টাকার খেলা, অভিযুক্তরাই স্কুল অডিটে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই নতুন অ্যাডহক কমিটি হবে - dainik shiksha সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই নতুন অ্যাডহক কমিটি হবে প্রাথমিকে স্বতন্ত্র ক্যাডার সার্ভিস চালুর দাবি - dainik shiksha প্রাথমিকে স্বতন্ত্র ক্যাডার সার্ভিস চালুর দাবি দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0032808780670166