দৈনিক শিক্ষাডটকম, চবি: ঈদের ছুটিতে বন্ধ থাকা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা পহেলা বৈশাখকে বরণ করে নিতে যোগ দিচ্ছে সাংস্কৃতিক আন্দোলনে। আয়োজন করেছে ব্যতিক্রমী মঙ্গল শোভাযাত্রা। চারুকলা ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা পালাক্রমে বর্ণিল সব মুখোশ তৈরি আর রংতুলির আঁচড়ে মাটির সরাতে চিরায়িত বাঙালি ঐতিহ্য ফুটিয়ে তুলতে ব্যস্ত।
‘এই বৈশাখে বৈশ্বিক বৈভবে’ স্লোগানে বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানাতে রোববার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হবে।
চারুকলার শিক্ষার্থীরা জানান, পহেলা বৈশাখের সকাল পর্যন্ত চলবে কর্মযজ্ঞ। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রায় জীবজন্তুর প্রতিকৃতি রাখা হবে। থাকবে ইলিশের প্রতিকৃতিও। কাগজ আর বাঁশের কঞ্চি দিয়ে বানানো হচ্ছে প্রতিকৃতি। শোভাযাত্রায় আবহমান বাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতীকী উপস্থাপনের নানা
১৯৯০ সালে প্রথম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজন শুরু হয়। ২০১০ সালে চারুকলা বিভাগ চারুকলা কলেজের সঙ্গে একীভূত হওয়ার পর থেকে প্রতি বছর চারুকলার শিক্ষার্থীরা স্বতন্ত্রভাবে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন শুরু করে। ২০০৬ সালে চট্টগ্রাম সরকারি চারুকলা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীরা নববর্ষের বারতা, বাঙালির চিরন্তন ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে নগরীর সাধারণ মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে ছোট পরিসরে আয়োজন করেছিলেন মঙ্গল শোভাযাত্রা। পরবর্তীতে এ শোভাযাত্রা আয়োজনের ভার নেয় চবি’র চারুকলা ইনস্টিটিউট।
চবি চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক অধ্যাপক প্রণব মিত্র চৌধুরী জানান, ইউনেসকোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা। এই শোভাযাত্রা অশুভকে দূর করা, সত্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির প্রতীক। এই শোভাযাত্রার মাধ্যমে বাঙালির ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, জাতিগত সব ধরনের বৈশিষ্ট্য এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মের কাছে হস্তান্তরিত হয়।
সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রার সম্মুখ, মধ্য ও শেষ- তিনভাগে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পহেলা বৈশাখের আয়োজন নিয়ে দৃশ্যমান কোনো ঝুঁকি নেই। তবে সম্ভাব্য ঝুঁকির কথা মাথায় রেখেই আমাদের সতর্কতা এবং প্রস্তুতি আছে।