কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার কারণে বন্ধ ঘোষণা করা হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। স্বল্প সময়ের নোটিশে আবাসিক সব শিক্ষার্থীকে চলে যেতে হয়। কক্ষগুলো করে দেয়া হয় সিলগালা। কিন্তু প্রশাসনের ওই আদেশ না মেনে আবাসিক হলে ছাত্রলীগের দেড় শতাধিক নেতাকর্মী অবস্থান করছেন। সিলগালা করা কক্ষগুলো খুলে নিয়মিত থাকছেন তারা।
জানা গেছে, ৬টি ছাত্র হলের ১৮৭টি কক্ষ এখন আর সিলগালা করা নেই। এরমধ্যে শাহ আমানত হলে ৩০টি, সোহরাওয়ার্দী হলে ৩৫টি, শাহজালাল হলে ৪২টি, এ এফ রহমান হলে ১৫টি, আলাওল হলে ২৫টি ও আব্দুর রব হলে ৪০টি কক্ষ রয়েছে। এসব কক্ষে অবস্থান করছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এদের মধ্যে শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয়, সাদাফ খান, সাদেক হোসেন টিপু, যুগ্ম সম্পাদক সাহেদুল ইসলাম সাঈদ ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক পার্থ প্রতিম বড়ুয়াসহ দেড় শতাধিক নেতাকর্মী ক্যাম্পাস ও হলে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।
শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে গত ১৮ জুলাই থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। একদিন পরই ক্যাম্পাস ছেড়ে যান সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তবে হল ও ক্যাম্পাস ছাড়েননি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
প্রীতিলতা হলের এক ছাত্রী বলেন, আমরা মেয়েরা হলে থাকতে চেয়েছিলাম। অথচ প্রশাসন চাপ প্রয়োগ করে হল ছেড়ে দিতে বাধ্য করে। কিন্তু ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাস ও হলে অবস্থান করছেন, তার ছবি ফেসবুকেও দেখতে পাচ্ছি। মূলত প্রশাসনই ছাত্রলীগকে হলে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছে।
তবে হলে থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সাবেক ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পার্থ প্রতিম বড়ুয়া। তিনি বলেন, আমরা অনেকে ক্যাম্পাসের রেল স্টেশনে আড্ডা দেই; আবার চলে আসি। হলে থাকি না। কিছু শিক্ষার্থীর বাসা দূরে থাকায় গ্রামে যেতে পারেননি, তাদের অনেকেই আশপাশের কটেজে থাকেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক অহিদুল আলম বলেন, হলে থাকার বিষয়টি ভিত্তিহীন। সব রুম সিলগালা করা হয়েছে। হলে কোনো শিক্ষার্থী অবস্থান করছেন না।