দৈনিক শিক্ষাডটকম, চবি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অর্থনীতি বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সলিমুল্লাহ নামে অর্থনীতি বিভাগের সেকশন অফিসারের বিরুদ্ধে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিভাগ কতৃপক্ষ।
জানা গেছে, গত ৬ ডিসেম্বর অর্থনীতি বিভাগের করিডোরে পানি পানের জন্য যান তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী। ফিল্টারে পানি না থাকায় ঐ শিক্ষার্থী বিষয়টি অবগত করতে অফিস কক্ষে যান। এ সময় বিভাগের সেকশন অফিসার হিসেবে কর্মরত সলিমুল্লা আনসারী তাকে একা পেয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। এই সেকশন অফিসারের বিরুদ্ধে এরকম আরও ঘটনার অভিযোগ পূর্বে রয়েছে বলে জানা গেছে।
পরে ৭ তারিখে অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আমিরুল ইসলামের নিকট লিখিত অভিযোগ দেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। অভিযোগে ছাত্রীরা বলেন, বিভাগের তৃতীয় বর্ষের একজন ছাত্রী গত ৬ ডিসেম্বর সোয়া ১টার দিকে ক্লাস শেষ হওয়ার পর বিভাগের ফিল্টারে পানি না থাকায় পানির খোঁজে অফিসরুমে যান। এ সময় বিভাগের কর্মচারী সলিমুল্লা আনসারী তাকে একা পেয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। এই কাজ তিনি আগেও বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ছাত্রীর সঙ্গে ঘটানোর চেষ্টা করেছেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১০ ডিসেম্বর বিভাগের প্লানিং কমিটির ১৪তম জরুরি সভায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিভাগ কতৃপক্ষ। এতে অধ্যাপক ড.আলাউদ্দিন মজুমদারকে আহ্বায়ক করে সিন্ডিকেট সদস্য ড. নইম হাসান আওরঙ্গজেব চৌধুরী ও সহকারী অধ্যাপক তন্ময়ী হাসানকে সদস্য করা হয়। এসময় তদন্ত কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
এছাড়া তদন্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত সলিমুল্লাহ আনসারীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হয়। বরখাস্তকালীন সময়ে জনাব আনচারীর বেতন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধাও স্থগিত রাখার বিষয়েও প্ল্যানিং কমিটির সকল সদস্য একমত হন। এটি গত ১২ তারিখ থেকে কার্যকর করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সলিমুল্লাহ আনসারী বলেন, ‘এই অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই। আমাকে ফাঁসানোর জন্যই এই ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়েছে।’
এ বিষয়ে বিভাগের অধ্যাপক ড. আমিরুল ইলাম বলেন, ‘ছাত্রীদের একটা অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার জন্য কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।’